মোস্তাফিজুর রহমান মিন্টু, কেশবপুর
কেশবপুর ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে বুধবার রাতে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার (ওটি) সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ ওই ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। এ ব্যাপারে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কেশবপুর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও নিহতের স্বজনরা জানান, মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী প্রসূতি শম্পা খাতুনকে (৩২) কে বুধবার দুপুরে কেশবপুর শহরের ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে সিজারের জন্য ভর্তি করেন। সন্ধ্যার পর কেশবপুর সরকারি হাসপতালে ডাক্তার নাজিয়া নওরীণ জিসান শম্পা সিজার করলে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজারের পর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হলে ওই রাতেই শম্পাকে খুলনা রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। খুলনা যাওয়ার পথে রোগী মারা যায়।
সিজারের পর রোগী মারা যাবার ঘটনায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন এবং হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আহসানুল মিজান রুমি গতকাল বেলা ১১টায় ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক ও হাসপাতাল পরিদর্শন করে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার বন্ধ করে দেন।
নিহতের পরিবার, হাসপাতাল ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলামের স্ত্রী সম্পা খাতুনকে তার মা সুফিয়া বেগম সিজারিয়ান অপারেশনের জন্য কেশবপুর পৌর শহরের বেসরকারি ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। সন্ধ্যার পর কেশবপুর সরকারি হাসপাতালের ডা. নাজিয়া নওরীম জিসান প্রসূতি সম্পার সিজারিয়ান অপারেশনের পর একটি পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। সিজারের পর রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ওই রাতেই সম্পাকে খুলনা রেফার করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরবর্তীতে খুলনা যাওয়ার পথে রোগী মারা যায়। ওই সময় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রোগীর স্বজনদের ম্যানেজ করে তড়িঘড়ির মধ্যে দিয়ে মৃত রোগীর ছাড়পত্র দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সযোগে দ্রুত বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
নিহতের স্বামী মণিরামপুর উপজেলার হাসাডাঙ্গা গ্রামের শহিদুল ইসলাম এ প্রতিনিধিকে জানান, ডাক্তারের ভুল অপারেশনের কারণে হয়তো আমার স্ত্রী মারা গেছে। প্রসূতির মৃত্যুর বিষয়ে ক্রিস্টাল ডায়াগনস্টিক এন্ড হাসপাতালের মেডিকেল ব্যাবস্থাপক রেজাউল ইসলাম বলেন, ওই রোগীর অবস্থা ভর্তির আগে থেকেই খারাপ ছিলো। সরকারি হাসপাতালের ডা. নাজিয়া নওরীম জিসান সিজারিয়ান অপারেশন করেছেন এবং এ্যানেস্থেসিয়া ডা. অঞ্জলি রায় দ্বারা অজ্ঞান করা হয়েছিলো। অপারেশনের পর রোগীর প্রেসার বেড়ে গিয়ে খিচুনি শুরু হয়। রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার করা হয়। পরবর্তীতে খুলনায় যাওয়ার পথে রোগীর মৃত্যু হয়।
ক্লিনিকের ম্যানেজার শফিকুর রহমান মিলন জানান, অপারেশনের পর রোগির প্রেসার বেড়ে গিয়ে খিচুনি শুরু হয়। এরপর রোগির অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা রেফার্ড করা হয়। পরবর্তীতে রোগী মারা যায়। ডাক্তার নওরীণ জিসানের মোবাইলে বার বার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
শিরোনাম:
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়
- ‘জুলাই বিপ্লবে আহতদের চিকিৎসায় অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না’
- পদ্মাসেতু রেল সংযোগ প্রকল্প কোচ সংকটে শিগগিরই চালু হচ্ছে না ট্রেন চলাচল
- শব্দ থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী; যশোরে তিনদিনের নাট্য উৎসব হবে
- অভয়নগরে রবিউল হত্যা ওয়াহিদুলের রিমান্ড মঞ্জুর
- যশোর চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মিজান খান ও সম্পাদক সোহান নির্বাচিত
- কেশবপুরে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের কুরআন ধরানো অনুষ্ঠান ও পরিচিত সভা