কেশবপুর পৌর সংবাদদাতা:
যশোরের কেশবপুরে বায়নাপত্র দিয়েও জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বিএনপি নেতা ওয়াজেদ আলী খান ডাবলুর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। রোববার বিকেলে কেশবপুর প্রেসক্লাব মিলনায়নে উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামের কোহিনুর বেগম নামে এক নারী সংবাদ সম্মেলন করে ওই অভিযোগ আনেন। ওয়াজেদ আলী খান ডাবলু কেশবপুর উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক।

সংবাদ সম্মেলনে কোহিনুর বেগম বলেন, উপজেলার মধ্যকুল গ্রামের ওয়াজেদ আলী খান ডাবলু ২০২০ সালের ২৫ মার্চ ৭৫নং মধ্যকুল মৌজায় ৩৬৪৫ নং দাগে সাত দশমিক ৫০ শতক জমি সাত লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা মূল্য নির্ধারণ করে তিনটি ১০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল স্ট্যােম্পে জমি বিক্রয় বায়নাপত্র লিখে তার নিকট থেকে ৫০ হাজার টাকা গ্রহণ করে।

এবং দুইজন আমিনকে দিয়ে জমির পরিমাপ করে তাকে বুঝিয়ে দিলে ওই জমিতে বসতঘর নির্মাণ করে তারা বসবাস শুরু করেন। যার হোল্ডিং নং-০৯৬। কিন্তু ওই জমির কাগজপত্রে ত্রুটি থাকায় নির্ধারিত সময়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে পারিনি। এরপর ওয়াজেদ আলী খান ডাবলু ২০২০ সালের ১২ জুলাই ও ২০২১ সালের ২৪ জুলাই বায়নাপত্রের উপর চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা স্বাক্ষর করিয়া গ্রহণ করেন।

বর্তমানে তিনি সেটা অস্বীকার করে ভাড়াটিয়া আখ্যা দিয়ে তাকে উচ্ছেদের জন্য আদালতে মামলা করাসহ ভয়ভীতি প্রদান করছেন। ঘটনা উল্লেখ করে ওয়াজেদ আলী খান ডাবলুর বিরুদ্ধে ২০২৫ সালের ১ মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করলে তিনি পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে ক্ষতি করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ওয়াজেদ আলী খান ডাবলুর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে তারা অতিষ্ঠ। ২০২৪ সালের ৩ এপ্রিল ডাবলু তার বাড়ির বিদ্যুতের মিটার হতে বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ দখলকৃত জমির সবজি ও গাছগাছালি নষ্ট করে দেয়। তার বাড়িতে গিয়ে দুইবার মারপিট করেও জখম করে।

ওয়াজেদ আলী খান কেশবপুর উপজেলা বিএনপির প্রচার ও প্রকাশনা স¤পাদক হওয়ায় দলের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন ধরনের অন্যায় অত্যাচার করছে। তিনি যশোর জেলা ও কেশবপুর উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের নিকট ওয়াজেদ আলী খান ডাবলুর বহিস্কার করার জন্য জোর দাবি জানান। এ ছাড়া তার এহেন কর্মকাণ্ড থেকে রক্ষা পাওয়াসহ বায়নাকৃত জমি দলিল করে নিতে পারেন সেজন্য তিনি সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Share.
Exit mobile version