কেশবপুর প্রতিনিধি
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় চাঁদাবাজির অভিযোগে পৌর কাউন্সিলরসহ সাতজনের বিরুদ্ধে কেশবপুর থানায় মামলা হয়েছে। এক ভাঙাড়ি ব্যবসায়ীকে ফাঁদে ফেলে সোনার চেইন, মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা নেয়া হয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মামলার বাদী উপজেলার কায়েমখোলা গ্রামের বাচ্চু রহমান (২৯) এজাহারে উল্লেখ করেছেন, একই এলাকায় বাড়ি শুনে এক নারীর (২২) সঙ্গে মুঠোফোনে তাঁর সখ্য তৈরি হয়। গত বৃহস্পতিবার ওই নারী সকাল ১০টার দিকে বাচ্চুকে কেশবপুর আলিয়া মাদ্রাসার সামনে আসতে বলেন। তিনি সেখানে গেলে তাঁকে বায়সা এলাকার জিল্লুর রহমানের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে আগে থেকে আলতাপোল এলাকার জাহিদ হাসান (২৮), সোহান হোসেন (২৮), বায়সা এলাকার মো. সামি (২৫), মো. ইমরান (২৪), মো. শাহিন (২৮), কলারোয়া উপজেলার মো. মিলন (৩০), পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কবির হোসেনসহ (২৮) আরও কয়েকজন ছিলেন।
বাচ্চুকে ঘরে বসিয়ে ওই নারী সেখান থেকে চলে যান। পরে তার (বাচ্চুর) কাছে থাকা একটি সোনার চেইন, একটি মুঠোফোন কেড়ে নিয়ে তাকে মারধর করা হয়। এ সময় তার কাছে পাঁচ লাখ টাকা চাদা দাবি করা হয়। তিনি ভয়ে দুই লাখ টাকা দিতে রাজি হন। পরে ৩নং ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর কবির হোসেনের নির্দেশে জাহিদ হাসান ও সোহান হোসেন তাকে সঙ্গে নিয়ে মণিরামপুর উপজেলার এক পরিচিত ব্যবসায়ীর কাছে যান। ওই ব্যবসায়ী তাকে ১ লাখ টাকার চেক দেন। আরও এক লাখ টাকা তিনি বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তুলে পরিশোধ করেন। পরে বাচ্চু রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার কেশবপুর থানায় সাতজনকে আসামি করে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে এটি মামলা হিসেবে রুজু হয়।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর কবির হোসেন বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে ছিলেন না। তাঁকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল আলম বলেন, চাঁদাবাজির মামলায় জাহিদ হাসান ও সোহান হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।