কোটচাঁদপুর সংবাদদাতা
অল্প দিনের স্বল্প খরচের ফসল সূর্য্যমুখি ফুল। আর নিজের তেলের চাহিদা মেটাতে সূর্য্যমুখি ফুলের চাষ করেছেন চাষি খাইরুল হাসান (ঝন্টু)। ওই চাষির বাড়ি কোটচাঁদপুরের বকশিপুর গ্রামে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার বকশিপুর গ্রামের চাষি খাইরুল হাসান (ঝন্টু) জমিতে অন্যান্য চাষের পাশাপাশি ১০ শতকের একটি ব্লক তৈরি করেন সূর্য্যমুখি ফুল চাষের জন্য। এ চাষ তিনি কৃষি অফিসের পরামর্শ অনুযায়ী করেছেন বলে জানানা।
তিনি আরো বলেন, সূর্য্যমুখি চাষটা অল্প খরচের স্বল্প সময়ের একটি চাষ। বর্তমানে যে হারে তেলের দাম বাড়ছে তাতে করে নিজের সংসারের তেলের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বিক্রির করতে পারব তেল।
তিনি আরো বলেন, আমার ১০ কাঠা জমিতে এই আবাদ করতে দুই হাজার টাকা মত খরচ হয়েছে। তবে আমি খরচের তুলনায় অধিক ফলন পাব বলে আশা করছি।
সরেজমিনে উপজেলা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষি জমিতে নানা ধরনের ফসলের পাশাপাশি এখন জায়গা দখল করে নিচ্ছে সূর্য্যমুখি ফুল। বিস্তীর্ণ জমিতে আবাদ হচ্ছে এই ফসল। উপজেলার এখন প্রায় জায়গায় দেখা যায় সূর্য্যমুখি ফুলের হলুদ রঙের ঝলকানি।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুল হাসান বলেন, উপজেলায় এ বছর সূর্য্যমুখির চাষ হয়েছে ১৬ হেক্টর জমিতে। কৃষকেরা বিজ সংগ্রহ করতে না পারায় চাষ কমেছে। তবে এর উৎপাদনের দিক থেকে চিন্তা করলে কৃষকেরা ভাল উৎপাদন পেয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, বিজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা গেছে এ চাষের হার অনেক বাড়বে। বর্তমানে বাইরে থেকে হাইব্রিড জাতের বিজ আমদানি করতে হয়।
তিনি আরো বলেন, সূর্য্যমুখি তেল স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। চাহিদাও আছে বাজারে। কিন্তু বিজের স্বল্পতার জন্য কৃষক এটার উৎপাদনমুখি হতে চান না। এজন্য আমাদের গতবারের থেকে এবার আবাদ কমে গেছে।
সূর্যমুখী চাষে কিছু কিছু প্রতিবন্ধকতাও আছে। যেমন ঝড় হলে বেশি উচ্চতার গাছ পড়ে যায়। পাখিদেরও একটা উপদ্রব আছে। সরিষার ঘানিতে সূর্যমুখি ভাঙানো হয়। কোটচাঁদপুরের পেক্ষাপটে আরও কিছু বিষয় আছে।
সূর্যমুখি চাষ করে একদিকে যেমন কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন, তেমনি সংসারের নিজেদের তেলের চাহিদা ও পূরণ হচ্ছে। তবে বিজের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে পারলে এর চাহিদা আরো বাড়বে বলে মনে করেন এই কর্মকর্তা।