বিবি প্রতিবেদক
ভোটে কোনো অনিয়ম হলে চাকরি হারাতে হবে বলে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সতর্ক করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান। তিনি বলেন, পথভ্রষ্ট, অতিউৎসাহী, সন্ত্রাসীদের কোনো সুযোগ দেয়া যাবে না। ভোটকেন্দ্রে যদি কেউ জোরাজুরি করে পুলিশ ডেকে নিবৃত্ত করবেন। তারপরও ঠেকাতে না পারলে কেন্দ্র বন্ধ করে চলে যাবেন। পরে ভোট নেয়া হবে। কিন্তু কোনোভাবে জালভোট দিতে দেয়া হবে না। একজন যদি জালভোট দেয়, তার জন্য পোলিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার দায়ি থাকবেন।
গতকাল সকালে যশোরের মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এবারের সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোট গ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ইসি আহসান বলেন, বর্তমান কমিশন ২২ মাসে ১৩শ ভোট করেছে। একটাতেও অনিয়ম, অবিচার পাবেন না। আগামী সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার বিকল্প নেই। এ জন্য ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও লক্ষ্মীপুরে ভোটকেন্দ্রে প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে অনেক শিক্ষক চাকরি হারিয়েছেন। তাদের জন্য মায়া হয়। যদি কোনো শিক্ষক প্রার্থীকে সুবিধা দিতে গিয়ে নিজের চাকরি হারান, তবে সেটি দুঃখজনক হবে।

https://www.facebook.com/100063301714456/videos/1095014608302021
আহসান হাবিব বলেন, ভোটারদের পছন্দমতো ভোট দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। ভোট নিয়ে নানা অভিযোগ আসে। সত্য-মিথ্যা দুটি অভিযোগই তদন্ত করা হবে। মিথ্যা অভিযোগ দিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। বাইরের কেউ আমাদের সমস্যা ঠিক করে দিতে পারবে না। আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার এবং খুলনা বিভাগীয় নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির।
পরে শার্শায় আহসান হাবীব খান প্রেসব্রিফিং করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের দিন কোন কেন্দ্রে ভোট ডাকাতির চেষ্টা করা হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। জোরপূর্বক বা জাল ভোট প্রদানে সহায়তার অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তাকে সাসপেন্ড বা চাকুরিচ্যুত করা হবে। ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে আসতে পারে সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান বিরোধী দল বিহীন নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে এমন প্রশ্নের জবাবে ব্রিগেডিয়ার আহসান হাবিব বলেন, সংবিধান রক্ষার জন্য নির্বাচন করা হচ্ছে। ৪৪টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ৩৯টি দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। বড় বড় দলগুলো অংশ নিলে ভাল হতো, আমরা তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। তারা নির্বাচনে না এলে আমাদের করার কি আছে?

Share.
Exit mobile version