খাজুরা সংবাদদাতা
যশোরের খাজুরায় সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির অপচেষ্টা করছে দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা নামে একটি প্রতিষ্ঠান। বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজারে ডাস্টবিন (ময়লা ফেলার স্থান) তৈরির নির্ধারিত খাস জমি দখলের ফাঁদ পেতেছে প্রতিষ্ঠানটি।
জানা গেছে, যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশে পল্লী বিদ্যুৎ সাব-স্টেশন অফিসের উত্তরে চার শতাংশ সরকারি খাস জমিতে ডাস্টবিন তৈরির জন্য উপজেলা প্রশাসন ও খাজুরা বাজার ব্যবসায়ীরা মতামত দেন। সে অনুযায়ী জায়গা নির্ধারণ করা হয়। খাস জমির পাশে সংস্থার ‘দিশা শিশু নিকেতন’ নামে প্রাচীর ঘেরা প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম দীর্ঘদিন থেকে বন্ধ রয়েছে। তারপরও সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টির লক্ষ্যে পাশেই ‘আলোর দিশা মহিলা মাদরাসা’ নাম ব্যবহার করে একটি সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে।
খাজুরা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীর অভিযোগ, দীর্ঘদিন পরে বাজারের ময়লা ফেলার স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার লোকজন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তাদের আগের প্রতিষ্ঠানে শিশুদের লেখাপড়া হয় না কয়েক বছর ধরে। তারপর আবার মাদরাসার সাইনবোর্ড টাঙ্গানো হয়েছে।
খাজুরা বাজারের পল্লী চিকিৎসক নেতা মোজাফ্ফর হোসেন বলেন, যশোরের অন্যতম বাণিজ্যিক বাজার খাজুরা। ছোট-বড় প্রায় ১০ হাজার ব্যবসা প্রতিষ্ঠা রয়েছে এখানে। বাজারের সব ময়লা চিত্রা নদীতে ফেলা হয়। এ কারণে নদীর পানি দূষণ হয়। বাজার ব্যবসায়ীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ডাস্টবিন তৈরির নির্ধারিত স্থান নির্বাচন করার অনুরোধ করলে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশে সরকারি খাস জায়গা নির্ধারণ করা হয়। সেখানেই বাজারের সব ময়লা ফেলা হবে।
আরেক ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, শুনেছি ডাস্টবিন (ময়লা ফেলার স্থান) তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করছে দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থা। তিনি ক্ষোভের সাথে জানান, সরকারি জায়গায় ডাস্টবিন হবে তাদের সমস্যা কোথায়। দিশার উদ্দেশ্য ওই জমি দখল করা।
এ বিষয়ে দিশা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রাহিমা সুলতানার কাছে বক্তব্য জানার জন্য তার মুঠোফোনে কল করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বাঘারপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোভন সরকার জানান, খাজুরা বাজার কমিটি ও ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে ডাস্টবিন তৈরির অনুরোধ করে আসছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের ও ইউপি চেয়ারম্যানকে সাথে নিয়ে যশোর-মাগুরা মহাসড়কের পাশে জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে দিশা সংস্থার বিরুদ্ধে ঝরেপড়া শিশুদের প্রকল্পে সরকারি টাকা লুটপাট করার বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। যা জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে ফলাও করে প্রকাশিত হয়।