বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সহযোদ্ধাদের সাথে গল্প করতে করতেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আশরাফুল ইসলাম। সোমবার সকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স প্রতিদিনের মতো মিলিত হয়েছিলেন তিনি।
মুজিব বাহিনীর উপ-প্রধান রবিউল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এএইচএম মুযহারুল ইসলাম মন্টুসহ বেশ কয়েকজন বীরমুক্তিযোদ্ধা জীবনের পড়ন্ত বেলায় বৃষ্টিমুখর সকালে মেতেছিলেন গল্পের ছলে প্রাণময় আড্ডায়।
হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন জাতির একজন শ্রেষ্ঠ সন্তান শেখ আশরাফুল ইসলাম। সাথে সাথেই সেবা করতে শুরু করেন সহযোদ্ধারা। কিন্তু নিষ্ঠুর মৃত্যু তাকে ক্ষমা করেনি। শেষমেষ পাড়ি জমালেন অনন্ত যাত্রায়।
যশোর শহরের পুরাতন কসবা টালিখোলা এলাকার বাসিন্দা শেখ আশরাফুল ইসলামের বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি স্ত্রী এবং ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে, নাতি, নাতিনসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনী যশোরের উপ-প্রধান রবিউল আলম জানান, মরহুমের বড় ছেলে কর্মসূত্রে ময়মনসিংহের থাকেন। বাবার মৃত্যুর খবর শুনে তিনি যশোরের পথে রওনা দিয়েছেন। মঙ্গলবার গার্ড অফ অনার এবং নামাজে জানাজা শেষে আশরাফুল ইসলামের দাফন সম্পন্ন হবে। তবে কখন ও কোথায় তার ছেলে যশোর আসলে চূড়ান্ত হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, তার মৃত্যুতে গভীর শোক জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন যশোরের মুক্তিযোদ্ধারা। এক বিবৃত্তিতে প্রয়াত শেখ আশরাফুল ইসলামের আত্মার মাগফেরাত কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সংবেদনা জানান। বিবৃতিদাতারা হলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিব বাহিনীর উপ প্রধান রবিউল আলম, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার এ এইচ এম মুজাহারুল ইসলাম মন্টু, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ইঞ্জিনিয়ার আবুল হোসেন, কাজী আব্দুস সবুর হেলাল, আফজাল হোসেন দোদুল প্রমুখ।