বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর জেলার গ্রামীণ ডাক কর্মচারীরা বর্তমান বেতন কাঠামোর অসংগতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শনিবার সকালে প্রেসক্লাব যশোরের হল রুমে গ্রামীন ডাক-কর্মচারী ইউনিয়ন এই সংবাদ সম্মেলন করে। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আকাশ খান। তিনি জানান, তাদের বেতন কাঠামো এখনো ঔপনিবেশিক যুগের রয়ে গেছে। যা বর্তমান বাজার পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
লিখিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণ ডাক কর্মচারী ইউনিয়নের সদস্যরা জানান, যশোর জেলার ৫৫৩ জন কর্মচারী চরম অর্থনৈতিক দূরবস্থার মধ্যে দিন পার করছেন। পোস্টমাস্টার, পিয়ন, রানার এবং অফিস সহকারীদের বেতন যথাক্রমে ৪ হাজার ৪৬০ টাকা, ৪ হাজার ৩৫৪ টাকা, ৪ হাজার ১৭৭ টাকা এবং ৪ হাজার ৬০ টাকা। এই সামান্য বেতন দিয়ে তাদের জীবনযাপন অত্যন্ত কঠিন হয়ে পড়েছে।
কর্মচারীরা বলেন, বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে এই অল্প বেতনে পরিবার চালানো অসম্ভব। তাদের সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা এবং ন্যুনতম জীবনযাত্রার চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। তারা অভিযোগ করে আরও বলেন, তিন বেলা খাবার জোগাড় করাও তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে।
গ্রামীণ ডাক কর্মচারীরা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবা দিয়ে থাকেন। তারা জমির পর্চা বিলি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, জরুরি চিঠিপত্র, ভিপি ও মানি অর্ডার বিতরণসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকেন। কিন্তু এই কাজের পরও তাদের যথাযথ সম্মান ও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে না। তারা ডাক বিভাগের কর্মীদের জন্য নির্ধারিত পোশাক ও বাইসাইকেলের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা ডাক বিভাগের ডিজির প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সরকারের নীতি নির্ধারকদের প্রতি দ্রুত বেতন বৃদ্ধির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, সারাদেশে প্রায় ২৬ হাজার গ্রামীণ ডাক কর্মচারী একই সংকটের মুখোমুখি। তারা প্রধান উপদেষ্টা এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রামীণ ডাক কর্মচারীদের বেতন ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করার দাবি জানান। হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে তারা ঢাকায় প্রেসক্লাবের সামনে অনশন কর্মসূচি পালনে বাধ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনের সভাপতি নজরুল ইসলাম, সহ সাধারণ সম্পাদক আশোক কুমার, সাংগঠনিক সম্পাদক আলমগীর হোসেন প্রমুখ।