বাংলার খেলা প্রতিবেদক
১৯৭৭ সালে যশোর জেলা দলের ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় হিসেবে ক্রীড়াঙ্গনে যাত্রা শুরু। এরপর যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি পরিষদের বিভিন্ন পদসহ দায়িত্ব পালন করেছেন। যশোরের অসংখ্য সফল ক্লাব গড়ে তুলেছেন সাবেক এ কাস্টমস র্কমকর্তা। সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু এসব পরিচয় ছাপিয়ে মোকছেদ শফি হয়ে ওঠেন ক্রীড়াঙ্গনে নিবেদিতপ্রাণ এক সংগঠক। শফি নামে সবার কাছে পরিচিত এই ক্রীড়া সংগঠক শুক্রবার চলে গেলেন না ফেরার দেশে। রাত ৮টার দিকে যশোর শহরের ঘোষপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। তিনি দীর্ঘদিন ধরে শারিরীক নানা অসুস্থায় ভুগছিলেন।
তার একমাত্র ছেলে সাজিদ হাসান পলাশ যশোর জেলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় ও সর্বশেষ যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি কমিটির সদস্য ছিলেন।
যশোর ক্রীড়াঙ্গনে মোকছেদ শফির দীর্ঘদিনের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন সাঁতার কোচ আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ১৯৭৭-৮৪ সাল পর্যন্ত জেলা দলের ওয়াটার পোলো খেলোয়াড় ছিলেন। তার হাতে গড়ে গঠেছে যশোরের অসংখ্য ক্লাব। ১৯৯৯ সালে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যনির্বাহি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর যুগ্ম সম্পাদক, সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন।
এদিকে তার মৃত্যুতে গভীর শোক ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শফিকউজ্জামান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব কবির, জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আসাদুজামান মিঠু, বাংলাদেশ ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ খান বিপ্লব, সাবেক সভাপতি খায়েরুজ্জামান বাবু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ পারভেজ ফুল, সোনালী অতীত ক্লাবের সভাপতি এবিএম আখতারুজ্জামান, জেলা ফুটবল রেফারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রীনিবাস হালদার।