বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার আড়পাড়ায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে ও গলাকেটে মিঠু হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বাপ্পি হোসেনকে (৩৫) মাগুরা থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের সদস্যরা। শুক্রবার মধ্যরাত দেড়টার দিকে মাগুরার শালিখা উপজেলার কুয়াতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার বাপ্পি হোসেন আড়পাড়া গ্রামের খোকনের ছেলে। শুক্রবার দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানিয়েছেন র্যাব-৬ যশোর র্যাব ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক ফ্লা. লে. মো. রাসেল।
তিনি জানান, নিহত জাহাঙ্গীর আলম মিঠু (৩১) পেশায় একজন টাইলস মিস্ত্রী ছিলেন। গত দুই বছর পূর্বে তিনি মালয়েশিয়া (প্রবাসী) থেকে নিজ বাড়িতে ফিরে এলাকায় টাইলস মিস্ত্রীর কাজ করতেন। গত ৯আগস্ট সন্ধ্যায় ভিকটিমকে যশোর সদরের আড়পাড়া এলাকার মো. সুমন (৩৩) (ভিকটিমের বন্ধু) নামে এক ব্যক্তি মোবাইলে কল দিয়ে চা খাওয়ার জন্য আড়পাড়া মোড়ে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে ভিকটিমের পরিবার তার আর খোঁজ পায় না এবং রাত ৮টার পর থেকে তার মোবাইল ফোনও বন্ধ হয়ে যায়। পরিবারের লোকজন রাতে সম্ভাব্য অনেক জায়গা খোঁজাখুজি করে কোথাও ভিকটিমের সন্ধান পাননি। অতঃপর পরেরদিন সকালে যশোর সদরের আড়পাড়া গ্রামের ভ্যান চালক মিলনের বাড়ির পাশে ফাঁকা জমিতে ভিকটিমের গলাকাটা মরদেহ এলাকাবাসী দেখতে পায়।
নিহতের পরিবার জানায়, এলাকায় বিভিন্ন কারণে ভিকটিমের সাথে মো. সুমন (৩৩) ও মো. বাপ্পি (৩৫) সহ বেশ কয়েকজনের পূর্ব থেকে শত্রুতা ছিল এবং এরই জেরে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ঐদিন রাতে কৌশলে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে। ভিকটিমের বাবা মোদাচ্ছের আলী (৫৪) বাদী হয়ে এ বিষয়ে যশোর কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। কোতয়ালী থানার মামলা নং-১২/৭০৬ তারিখঃ ১২/০৮/২০২৪ ইং, ধারা-৩০২/৩৪ পেনাল কোড। ঘটনার পরপরই র্যাব-৬, যশোরের একটি আভিযানিক দল আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং অভিযান অব্যাহত রাখে। সেই তথ্য অনুযায়ী বাপ্পি হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার পরপরই সে নিজেকে আত্মগোপন করে এবং গ্রেফতার এড়াতে ঢাকায় গিয়ে কিছুদিন রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। পরবর্তীতে ঢাকা থেকে মাগুরা জেলার শালিখা থানাধীন কুয়াতপুরে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে নিজেকে আত্মগোপন রেখেছিল।