বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নবাসী নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অনুপস্থিত থাকায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়ন বন্ধ রয়েছে। সাথে সাথে সীমিত রয়েছে জন্ম সনদ, নাগরিক সনদ, ওয়ারেশ কায়েম সনদ, মাতৃত্বকালীন ভাতার আবেদনসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ। ফলে জরুরি প্রয়োজনে সেবা নিতে আসা নাগরিকরা ফিরছেন হতাশ হয়ে। কবে নাগাদ এই সব সেবা পুরোপুরি চালু হবে বলতে পারছেন না স্বয়ং ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ডিজিটাল সেন্টারের দায়িত্বে থাকা উদ্যোক্তারাও। স্থানীয় রাজনীতিতে চরম গ্রুপিং থাকার কারণে মূলত ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হতে পারছেন না চেয়ারম্যান।
বৃহস্পতিবার সকালে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা গেছে, নাগরিক সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা সেবা না পেয়ে বাসায় ফিরছেন। কাজ না থাকাতে আলস সময় পার করছেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা ও সচিব।
৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তার মেয়ের সনদপত্র ও জন্ম নিবন্ধনে নামের সমস্যা নিয়ে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তার। ইউনিয়ন পরিষদে এসেও কোনো সুরাহা করতে পারছেন না। দায়িত্বশীল কেউ না থাকাতে কার সাথে পরামর্শ করবেন বুঝতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।
নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা সেলিম রেজা বলেন, আগের থেকে কাজ কমেছে। এখন সীমিত পরিসরে কাজ করতে হচ্ছে তাদের। অনলাইনে বিভিন্ন আবেদন করায় মূলত তাদের কাজ। তাদের কাজ শেষে সচিবের কাছে ফাইল হস্তান্তর করা হয়। সেখানে চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর লাগলে কেউ কেউ নিজ দায়িত্বে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন।
ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা রুহুল আমীন বলেন, নাগরিকদের সেবামূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। চেয়ারম্যান অফিস করছেন না। যাদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর প্রয়োজন হচ্ছে তারা তার সাথে দেখা করে স্বাক্ষর করে নিচ্ছেন। আমাদের জরুরি প্রয়োজনে আমরাও তার বাসায় লোক পাঠিয়ে কাগজপত্রে স্বাক্ষর করে নিয়ে আসছি।
এ বিষয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বলেন, আমি আমার ইউনিয়নবাসীকে নাগরিক সেবা দিয়ে যাচ্ছি। হয়ত আগের মত তারা সহজে সেবা পাচ্ছে না। তারপরও আমি চেষ্টা করছি সেবা দেয়ার জন্য। আমরা অফিস করতে পারছি না স্থানীয় রাজনৈতিক গ্রুপিংয়ের কারণে। এখনি অফিস করতে গেলে হয়ত সহিংসতা হতে পারে। আমি ব্যক্তিগতভাবে কোনো প্রকার সহিংসতার মধ্যে যেতে চাচ্ছি না। আমাদের আফিস করতে না দিলে ইউনিয়ন পরিষদ ভেঙ্গে দিক তারপরও এই ভোগান্তির একটা সমাধান হোক।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Home
News
Notification
Search
Exit mobile version