চৌগাছা সংবাদদাতা
 যশোরের চৌগাছায় বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নতুন উপজেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে নতুন ষড়যন্ত্র সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে। রোববার (২ নভেম্বর) এ অভিযোগ করেন নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ।
জানা যায়, গত ২৮ অক্টোবর শিক্ষকদের সর্বসম্মতিক্রমে কমিটি অনুমোদন দেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। নবগঠিত এ কমিটিতে সভাপতি পদে নির্বাচিত হন পাতিবিলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকলেছুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক হন লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গওসুল আলম (মিন্টু)।
তবে এ কমিটির বিরোধিতা করে শিক্ষাঙ্গন অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারায় লিপ্ত একটি গোষ্ঠী রয়েছে বলে নতুন কমিটি অভিযোগ করছে। তাদের দাবি, ওই গোষ্ঠী সরকারি অনুদানে নির্মিত প্রাথমিক শিক্ষা ভবন দখল করে সমিতির বৈধ কার্যক্রম বাধাগ্রস্তের গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।
নবগঠিত কমিটির সভাপতি মকলেছুর রহমান জানান, “প্রাথমিক শিক্ষাকে বিপর্যস্ত করতে কিছু শিক্ষক বারবার অপচেষ্টা করছেন। আমরা তা প্রতিহত করব।” সাধারণ সম্পাদক গওসুল আলম (মিন্টু) বলেন, “নতুন কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যাপ্রচার ও শিক্ষাকে কলুষিত করার যে কার্যক্রম চলছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাই।”
এ সময় তারা অভিযোগ করে বলেন, গত ১ অক্টোবর প্রাথমিক শিক্ষক ভবন দখল করে অননুমোদিত বৈঠক করেন ফ্যাসিবাদপন্থি প্রায় দুই দশক শিক্ষক। তারা হলেন, উপজেলার স্বরুপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামাউল ইসলাম, চৌগাছা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন, পশ্চিম স্বরুপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোলাইমান হোসেন, সাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শফিকুল ইসলাম, গয়ড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান, ধুলিয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মজিদ, রায়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রকিবুল ইসলাম, বাটিকামারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মতিন, ঝিনাইকুন্ডু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশীদ, বর্নি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, জগন্নাথপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক রিজাউল ইসলাম, মাধবপুর উত্তরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হারুন অর রশীদ, বকসিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জয়নুর রহমান, সুখপুকুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অহিদুল ইসলাম, ভবানীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিজানুর রহমান, লস্করপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আক্কাচ আলী ও সাদীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা সালমা খাতুন। এদিকে প্রাথমিক শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন সুধীজন ও শিক্ষক সমাজের অনেকে। তবে এ বিষয়ে স্বরূপদাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামাউল ইসলাম বলেন, আমাকে ডাকা হয়েছিল তাই সেখানে গিয়েছিলাম।
 
 