বিবি প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি) দিবস ২০২৪ আগামীকাল (বৃহস্পতিবার)। দীর্ঘ পথ পরিক্রমায় বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বৃহত্তর যশোর জেলার প্রথম ও একমাত্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়টি আজ তার সপ্তদশ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করতে যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এবারের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত বিজ্ঞানী যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন।
উচ্চ শিক্ষার মাধ্যমে আধুনিক জ্ঞান চর্চা ও গবেষণার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০৭ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোর সদর উপজেলার চুড়ামনকাটি ইউনিয়নের সাজিয়ালী মৌজায় ৩৫ একর জায়গা জুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। তবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে। যশোর শহরের ধর্মতলাস্থ ‘বৃষ্টি মহল’ নামের একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ ভাড়া বাড়িতেই ২০০৯ সালে ২০০৮-০৯ শিক্ষাবর্ষে ‘কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল’, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি’, ‘অণুজীববিজ্ঞান’ এবং ‘ফিশারীজ অ্যান্ড মেরিন বায়োসায়েন্স’ বিভাগে ২০০ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। ওই বছরের ১০ জুন ভর্তিকৃত ২০০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে মূল ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালের ২৭ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করেন।বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে আটটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিভাগ রয়েছে। এছাড়া ঝিনাইদহস্থ ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের অধীনে দেয়া হয় ডক্টর অফ ভেটেরিনারি মেডিসিন ডিগ্রি। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে স্নাতক, স্নাতকোত্তর, এমফিল ও পিএইচডি পর্যায়ে প্রায় ৬ হাজার ২১৩ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত আছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক, সহকারী অধ্যাপক ও প্রভাষকসহ মোট ৩৪৮ জন শিক্ষক, বিভিন্ন গ্রেডের ১৬৪ জন কর্মকর্তা এবং ৩৩৮ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। যারা নিজেদের মেধা ও শ্রমের মাধ্যমে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি গবেষণা নির্ভর বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে রাতদিন নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ২৫ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যেতে এখন পর্যন্ত আপনারা যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আগামীতেও আশা করি আপনাদের সহযোগিতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে বুধবার দিবাগত রাত ১২.০১ টায় বাস্কেটবল মাঠে আতশবাজি ও ফানুস উড়ানো, বৃহস্পতিবার প্রথম পর্ব সকাল ১০.১৫ টায় জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে। বেলা ১০.২৫ টায় প্রধান ফটকস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ, ১০.৩০ টায় হবে আনন্দ শোভাযাত্রা, দুপুর ১০.৪৫ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিনের কেক কাটা, পিঠা উৎসব, দুপুর ১১.৩০ টায় কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়ন, অর্জন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভা ও বেলা ৩.০০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এদিকে ১৭তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে সকল বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হবে পিঠা উৎসব। হরেক রকমের পিঠার পসরা সাজিয়ে নিজ নিজ বিভাগ তুলে ধরবে তাদের সৃজনশীলতা। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সড়কে আঁকা হয়েছে মনোমুগ্ধকর আল্পনা। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তর।
শিরোনাম:
- আলুর দাম লাগামহীন ভোক্তার নাভিশ্বাস
- শীতে ফুটপাতে গরম কাপড় বিক্রির ধুম
- একটা সংস্কার কমিটি দিয়ে সংবিধান সংস্কার সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
- নিখোঁজের ৩ দিন পর কপোতাক্ষ নদে মিলল বৃদ্ধার মরদেহ
- কৃষ্ণনগরে আরাফাত কোকো স্মৃতি ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রতনপুর
- পাখির সাথে মানুষের ভালোবাসার গল্প !
- সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্ব রাখবে বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
- যশোর মটর পার্টস ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচন সংস্কার ও উন্নয়ন পরিষদের পক্ষে ২৭টি মনোনয়নপত্র ক্রয়