এম আই মুকুল, জীবননগর:
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে জেঁকে বসেছে শীত। তীব্র ঠাণ্ডার কারণে পথঘাটে মানুষের চলাচল কমে গেছে। শীতের তীব্রতায় সবচেয়ে বেশি কাহিল হয়ে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ও অসহায় মানুষরা। এখনো সরকারি-বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ শুরু না হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
হঠাৎ করে জেলায় শীত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের পাশাপাশি গবাদিপশু ও পশুপাখিরাও ঠাণ্ডার কবলে পড়ে কষ্ট পাচ্ছে। অনেক গরিব ও অভাবী মানুষ পুরোনো গরম কাপড়ের দোকানে ছুটলেও এ বছর দাম বেশি হওয়ায় প্রয়োজন অনুযায়ী কিনতে পারছেন না।
গবাদিপশুর কষ্ট লাঘবে কেউ কেউ গরুর গায়ে চটের বস্তা জড়িয়েছেন, ছাগলের গায়ে পরানো হয়েছে পুরোনো সোয়েটার।
শীত নিবারণের জন্য অনেকেই সকালে আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করছেন। তবে প্রচণ্ড ঠান্ডার কারণে অনেক কর্মজীবী মানুষ কাজে যেতে পারছেন না।
আবহাওয়া অফিস থেকে জানা যায়, পৌষের শুরুতে হঠাৎ করেই শীতের মাত্রা বেড়েছে। রোববার সকালে জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে এবং শীতের তীব্রতা বাড়বে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
কনকনে ঠাণ্ডায় হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও স্বল্প আয়ের শ্রমজীবী মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। দিনের বেলায় সূর্যের তেমন দেখা না থাকায় হিমেল বাতাসে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
এদিকে জেলা উপজেলার হাসপাতালে শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বাড়তে শুরু করেছে।
নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতজনিত রোগ থেকে বাঁচতে সবাইকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন
