জীবননগর সংবাদদাতা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া-সন্তোষপুর মহাসড়কে পূর্বাশা পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে নগদ টাকাসহ বিভিন্ন মালামাল লুটের খবর পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার ভোর আনুমানিক সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার মধ্য এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, উপজেলায় সন্তোষপুরে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটা থেকে পাঁচটার দিকে ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল রাস্তার পাশে থাকা দুটি গাছ কেটে মহাসড়কে ফেলে প্রথমে একটি পিকআপ ভ্যান (ঢাকা মেট্রো ন-১২৪৩২০) দাঁড় করায়। তারপর ওই গাড়ির চালকের কাছ থেকে নগদ টাকা ও মোবাইল ছিনতাই করার পর পিকাপ ভ্যান দিয়ে রাস্তায় ব্যারিকেড দেয়। সে সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পূর্বাশা পরিবহণের একটি বাস (ঢাকা মেট্রো ব-১৫-৫২৪১) ঘটনাস্থলে পৌছালে ৭-৮ জনের সশস্ত্র ডাকাত দলের সদস্যরা হাতে চাপাতি, দাসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে বাসের গতিরোধ করে। প্রথমে তারা বাসচালক ফয়সালকে মারপিট করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। এরপর গাড়িটি মহাসড়ক থেকে আন্দুলবাড়িয়া বাইপাস সড়কের ইকো পার্কের সামনে নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে নগদ টাকা, মোবাইলসহ অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে বাসটি ভাংচুর করে চলে যায়।
স্থানীয়রা জানান, সন্তোষপুরে বার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ডাকাত দলের কোন সদস্যদের আটক কিংবা লুন্ঠিত মালামাল উদ্ধার হয়নি।

পূর্বাশা পরিবহনের কর্তৃপক্ষরা জানান, রাতে ঢাকা থেকে রওনা দেয়া পরিবহনগুলো মাঝরাতেই কালীগঞ্জ পর্যন্ত পৌঁছে যায় অথচ জীবননগর রওনা দিতে সাহস পায়না ভোরের আলো না ফোটা পর্যন্ত। তারা আরো জানায় রাতে তিন/চারটা গাড়ি একসাথে হলে তারা দলবদ্ধভাবে রওনা দেন। হাইওয়েটি অনেক সময় কালীগঞ্জ থানা পুলিশ প্রটোকল দিয়ে কোটচাঁদপুর সীমানা পর করে দিয়ে থাকে।

ঢাকাগামী পরিবহনের একাধিক ড্রাইভার, সুপারভাইজার অভিযোগ করেন, জীবননগর থানার হাইওয়ে পুলিশ থাকলেও সংখ্যায় নগণ। যার ফলে কোন এক জায়গায় ডাকাতি ঘটলে তারা আসতে আসতে ডাকাত দলের সদস্যরা ডাকাতি করে পালিয়ে যায়।

জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ মামুন হোসেন বিশ্বাস জানান, ভোর চারটা পর্যন্ত জীবননগর থানা পুলিশ মহাসড়কে ডিউটি করেছে। এরপর ফজরে আজান দিলে তারা চলে আসে। আর এই সুযোগটাই হয়তো ডাকাত দলের সদস্যরা গ্রহণ করেছে। তাছাড়া আমরা এই মহাসড়কে পুলিশি টহল জোরদার করেছি। তারপরও এমন ঘটনা আমাদের জন্য উদ্বেগজনক। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.
Leave A Reply Cancel Reply
Exit mobile version