ঝিকরগাছা প্রতিবেদক
যশোরের ঐতিহ্যবাহি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাই স্কুলের প্রায় ৪০ বছরের পুরাতন সদা হাস্যজ্জল ভাজা-মুড়ি-চকলেট বিক্রেতা ও পৌর সদরের কৃষ্ণনগর গ্রামের বাসিন্দা মোঃ মিজানুর রহমান মিজান (৫৪)। অনেক পুরাতন শিক্ষার্থীরা তাকে মিজান ভাই ও মিজান চাচা এবং তরুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের কাছে মিজান দাদা নামে পরিচিত হলেও তিনি একজন অসহায় পিতা। তার সংসার জীবনে এক মেয়ে ও ছোট দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। তার একমাত্র মেয়ে মোছাঃ রাজিয়া খাতুন (২৬) যশোর এমএম কলেজে অনার্স ফাইল ইয়ারের শিক্ষার্থী।
বেশ কিছু দিন যাবৎ রাজিয়া অসুস্থ হয়ে বাড়িতে চিকিৎসা নেন। পরবর্তীতে অসুস্থতার আকার বৃদ্ধি পেলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকাতে নিয়ে মেডিকেল চেক আপ করে প্রাথমিক পর্যায়ে জানা যায়, সে জরায়ু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত।
রাজিয়া বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. নাজির উদ্দিন মোল্লা’র অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন। তাকে বাঁচাতে অনেক অর্থের প্রযোজন কিন্তু তার অসহায় পিতা মিজানুর রহমান মিজানের একার পক্ষে সে সকল অর্থ যোগান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এই জন্য অসহায় পিতার করুন আকুতি আমার মেয়েকে বাঁচাতে আপনারা সকলেই এগিয়ে আসুন। আমি আমার মেয়ের চিকিৎসার জন্য মানবিক সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।
ঝিকরগাছা সরকারি এমএল মডেল হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আজাদ বলেন, আমার এই স্কুলে আসার পূর্বেই মিজান ভাই দোকানদারী করে আসছে। ‘মানুষ মানুষের জন্য’- কথাটি আমরা প্রায়ই বলে থাকি। যথাসময়ে আমরা যেনো তাদের পাশে দাঁড়াতে পারি। আমাদের স্কুলে যখন থেকে তিনি দোকানদারী করছেন তখন থেকে আজ পর্যন্ত অনেক শিক্ষার্থী বিভিন্ন দপ্তরে রয়েছেন। তাদেরকেও আমি বলবো আপনারাসহ সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় এ অবস্থায় মিজান ভাইয়ের মেয়ের পাশে দাঁড়ানো ও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে আসুন।
হতে পারে আপনার অতি সামান্য দানে অসহায় রাজিয়া খাতুন বেঁচে যেতে পারে।
তার চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা পাঠাতে পারেন মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশ ০১৭২৫-২২৫২৯৩ (পিতা মিজান) ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, ঝিকরগাছা শাখার হিসাব নং ২০৫০১৬০০২০১৮২৪২১২ (মাতা রাহেলা বেগম)।