ঝিনাইদহ সংবাদদাতা
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের শাখার সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় পোড়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণকে (৬৭) পুড়িয়ে এবং তার গাড়িচালক আক্তার হোসেনকে (৪২) পিটিয়ে হত্যা করেছে কোটা আন্দোলনকারি শিক্ষার্থী ও তাদের বিক্ষুব্ধ সমর্থকরা। এ সময় জেলার শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের অফিসে আগুন দেয় হয়েছে এবং বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি ভাংচুর করা হয়।
সোমবার বিকেলে ঝিনাইদহ শহরের উপজেলা পরিষদ এলাকায় হিরনের বাসায় এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা আওয়ামী লীগ নেতা ও ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য নায়েব আলী জোয়ার্দারের বাড়িতে ইটপাটকেল ছোঁড়ে। তারা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে এবং তাদের বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর ও আগুন ধরিয়ে দেয়। বর্তমানে জেলা শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানায়, কয়েকশ বিক্ষুব্ধ মানুষ সোমবার বিকেলে শ্লোগান নিয়ে ঝিনাইদহ শহরে শহিদুল ইসলাম হিরনের উপজেলা পরিষদপাড়ার বাসায় হামলা করে তার বডিগার্ড বা ড্রাইভার হিসেবে পরিচিত আক্তার হোসেনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। তারা হিরণের তিনতলার বাসায় ঢোকার চেষ্টা করে। দীর্ঘ দুই ঘন্টা পর তারা হিরনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিলে তিনি আগুনে ঝলসে মারা যান। পরে বিক্ষুব্ধ ব্যক্তিরা হিরনের মরদেহ শহরের কেন্দ্রস্থল পায়রাচত্বরে এনে একটি প্রদর্শনী ব্যানারের সাথে ঝুলিয়ে রাখে। এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহীন উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, এ বিষয়ে তিনি শুনেছেন তবে এ পর্যন্ত তিনি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন নি।