বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলার ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচন স্থগিতের জন্য আদালতে ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মাজেদা বেগম অভিযোগ করেছেন। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম রবিউল ইসলামকে শোকজ করেছেন।
অভিযোগে অভিভাবক সদস্য রফিকুল ইসলাম ও মাজেদা বেগম জানান, ডাকাতিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের জন্য প্রধান শিক্ষক যে ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেছেন সেটা সম্পূর্ণ অবৈধ। ভোটার তালিকায় কোন ক্রমিক নম্বর দেয়া হয়নি। যার ফলে প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের সঠিকভাবে মনোনয়নপত্র পূরণ করার সুযোগ নেই। দশম শ্রেণির অভিভাবকদের ভোটার তালিকায় নাম রাখা হয়নি। শিক্ষকদের ভোটার তালিকায় সহকারী শিক্ষক মনিরুজ্জামান ও ফারুক হোসেনের নাম নেই। এছাড়াও বিদ্যালয়ের বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
যার নম্বর ২০৯/২২ মোকাদ্দমা। মামলা চলমান থাকলে সরকারি কৌসুলীর আইনী মতামত ছাড়া নিয়মিত ম্যানেজিং কমিটি গঠনের কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোন আইনী মতামত নেননি। প্রিজাইডিং অফিসারের সহযোগিতায় ওই প্রধান শিক্ষক কোন নিয়মনীতির তোয়াক্কাই করছেন না। এতসব অনিয়ম অভিযোগের মধ্যে গত ১৪ জুলাই প্রিজাইডিং অফিসার চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছেন। ২৫ জুলাই ভোগ গ্রহণের দিনধার্য করেছেন।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মাহাবুুবুল আলম বিদ্যুৎ বলেন, অনিয়মের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বিষয়টি সত্য। কিন্তু তিনি কিছুই জানেন না। প্রধান শিক্ষক হেলেনা আক্তার এসব করেছেন।
প্রধান শিক্ষক হেলেনা আক্তারের সাথে যোগাযোগের জন্য তার ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রিজাইডিং অফিসার ও সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এম রবিউল ইসলাম বলেন, ভোটার তালিকা প্রস্তুত করেন প্রধান শিক্ষক। অনিয়মটা করেছেন প্রধান শিক্ষক।
বিষয়টি নিয়ে দুইজন অভিভাবক আদালতে অভিযোগ দিয়েছেন। আদালত প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে আমাকে শোকজ করেছেন। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে এখন আর নির্বাচন করা সম্ভব নয়। আর এই অনিয়ম করার জন্য প্রধান শিক্ষককে শোকজ করা হবে।