সুমন ব্রহ্ম, ডুমুরিয়া
ভদ্রানদীর প্রবল জোয়ারের চাপে গত কয়েকদিন যাবৎ খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কে খর্ণিয়া সেতুর দক্ষিণ পাশে খর্ণিয়া ও ভদ্রদিয়া গ্রামে যাওয়ার একমাত্র পাকা সড়কটি উপচে গ্রামের বাড়ি-ঘরে পানি ঢুকছে। যে কোনো সময় বাধ ভেঙ্গে বাড়ি-ঘর প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে। পানি বন্ধ করার কোনো উদ্যোগে চোখে পড়েনি।
ভদ্রা নদীর তীরে ২ বিঘা জমির মাছের ঘের ভেসে যাওয়ায় লক্ষাধিক টাকার মাছ ও জমির আধা-পাকা ধান নষ্ট হয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক আ. ছাত্তার বলেন, অনেক বছর ধরে খর্ণিয়া এলাকায় ভদ্রানদীর দু’পাশে অসংখ্য ইটভাটা গড়ে তুলে ভাটা মালিকরা চর দখল করে রাখায় নদীটি প্রায় খালে পরিণত হয়েছে। তাছাড়া প্রতি বছর সুকনা মৌসুমের শুরুতে (নদীতে পলি আসলে) চুকনগরের দিকে যাওয়া এই নদীর রানাই পাল পাড়া মোহনায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে দেয়া হয়। সেদিকে পানি না যেতে পেরে সমস্ত পানি আমাদের গ্রামে-রাস্তায় উপচে পড়ছে। প্রশাসন বা পানি উন্নয়ন বোর্ড কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ভদ্রাদিয়া গ্রামের রমজান গাজী বলেন, আমাদের উপজেলার খর্ণিয়া ও আটলিয়া ইউনিয়নের মাঝ দিয়ে বয়ে চলা এক সময়ের প্রমত্তা ভদ্রা নদী, আজ পলি পড়ে ভরাট ও দখলবাজদের কারণে জোয়ারের পানি ধরে রাখতে পারছে না। তাই গত ১ মাস ধরে প্রবল জোয়ারের সময় এই পাকা রাস্তা উপচে আমাগে বাড়ি-ঘরে পানি উঠে যাচ্ছে। রশিদা বেগম বলেন, গত ২ দিন ধরে পানির খুব বেশি চাপে আমাগে বারান্দায় উঠে গেছে।
এ প্রসঙ্গে খর্ণিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার বলেন, নদী নাব্যতা হারিয়ে ফেলায় জোয়ারের পানি উপচে পড়ছে। জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার পাশ দিয়ে রিং বাঁধ দিয়ে পানি আটকাতে না পারলে বড় ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। খুলনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুর রহমান তাজকিয়া বলেন, শিঘ্রই আমি ঘটনাস্থলে যেয়ে দেখে শোল্ডার উচু করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।