বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরে বাজারগুলোতে তরতর করে কাঁচা মরিচের দাম বাড়ছে। অন্যন্য সবজির দাম কিছুটা কম হলেও আলু ৬০ টাকা ও বেগুন ৯০ টাকায় গিট বেঁধে আছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের টিম বাজার মনিটরিং করেও মান ভেদে সব পণ্যের দাম ক্রয় ক্ষমতার ভিতরে আনতে পারছে না। তবে আশার বিষয় এই যে কিছু সবজির দাম বাড়তি থাকলেও অধিকাংশ সবজির দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকার ভিতরে। বিক্রেতারা বলছেন বাজারে অবৈধ চাঁদা উঠানোর হার কমাতে বাড়তি খরচ কমেছে তাদের। যে কারণে কিছুটা নায্যমূল্যে পণ্য বিক্রির স্বপ্ন বুনছেন তারা।
শুক্রবার শহরের বড় বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতার উপস্থিতি বৃদ্ধি পেয়েছে। সবজির ডালি সাজিয়ে বসে আছেন বিক্রেতা। হরেক রকমের তরি তরকারিতে ভরপুর কাঁচা বাজার। এদিন বাজার দর দেখা গেছে, প্রতিকেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া প্রতিকেজি মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৬০ টাকা, আমড়া ৩০ টাকা, পুঁইশাক ২০ থেকে ৩০ টাকা, কলা ৫০ টাকা, পটল ৩০ টাকা, উঁচ্ছে ৭০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, রসুন ২৪০ থেকে ২৮০ টাকা, শুকনো মরিচ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, আলু ৬০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা(পিস), বেগুন ৯০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা, গাজর ১৬০ টাকা, শশা ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস হাড্ডি ও চর্বিসহ ৭৫০ টাকা, ছাগলের মাংস ১ হাজার ৫০ থেকে ১১শ ৫০ টাকা, জাত ভেদে মুরগির মাংস ১৭০ থেকে ৪৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
বড় বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা হালিম শেখ বলেন, বাজারে কাঁচামালের আমদানি বেড়েছে। গত সপ্তাহের তুলনায় সবজির দাম কমে গেছে । আজকের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
হুসাইন নামে অন্য এক বিক্রেতা বলেন, বিকেলে বৃষ্টির কারণে বাজারে লোক কম আসছে। এখন মোকামে সবজি পাওয়া যাচ্ছে। বাজারে চাহিদা মোতাবেক সবজি আছে। কিছু সবজির দাম কমলেও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে।
আকলিমা খাতুন নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারে সবজির দাম কমছে। মোটামুটি ২০ থেকে ৩০ টাকায় সবজি পাওয়া যাচ্ছে। পেঁয়াজ, মরিচের দাম বেড়েছে। দেশে থমথমে অবস্থা তার ভিতরেও তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি বাজারে। মাছ মাংসের দাম একটু কমলে সবার জন্য সুবিধা হয়। আমদানি নির্ভর পণ্যের দাম কিছু বাড়ছে।