তালা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরার তালায় জমি কিনে বিপাকে পড়েছেন সিরাজুল ইসলাম। বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে হয়রানির করতে প্রতিপক্ষ মীর আসাদুজ্জামান একের পর এক মিথ্যা কাল্পনিক ভিত্তিহীন মনগড়া অভিযোগ করছেন বলে অভিযোগ সিরাজুল ইসলামের।
সাতক্ষীরা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানাধীন খলিশখালি ইউনিয়নের গাছা মৌজায় প্রভাবতি ধর গত ইং ০৮-১০-১৯৬৯ সালে ১০৯৪৯ নং বিনিময় সূত্রে পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি মুলে ভারত হতে পশ্চিম বাংলার মঙ্গল মাহমুদপুর মৌজার সমপরিমাণ জমি বিনিময় করেন। ওই বিনিময় কৃত জমি চারজনের নামে অর্থাৎ ওমর উদ্দিন মন্ডল, কায়েস মন্ডল, বায়েস উদ্দিন মন্ডল, হাতেম মন্ডল দিংদের নামে সাতক্ষীরা এস,ডি,ও অফিস হতে যথাক্রমে বৈধ হয়। জমির পরিমান ১৯ একর ৬৪ শতক। উল্লেখিত বিনিময় সুত্রে প্রাপ্ত কায়েস উদ্দিন মন্ডল ও বায়েস উদ্দিন মন্ডল হইতে আর,এস প্রজা খোদেজা বেগম ও আনোয়ারা বেগম দিং গত ইং ২৮-০১-১৯৭০ তারিখ ৯ একর ৮২ শতক জমি ৩২৮ নং কোবলা দলিল মূলে জমি কেনেন।
ক্রয়কৃত জমি যথাক্রমে খোদেজা ও আনোয়ারা দিংদের নামে ১৯৭৫-১৯৭৬ সনে ১৫৮৪ নং নামপত্তন হয়।
উল্লেখ্য, তালা উপজেলার সেটেলমেন্ট জরিপ শুরু হলে শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখল থাকা অবস্থায় খোদেজা বেগমের নামে গাছা মৌজার অধীনস্থ আর,এস ২৯৮ নং খতিয়ানে ৯ টি হাল দাগে ৬ একর ৯৭ শতক জমির রেকর্ড হয়। সে মোতাবেক আনোয়ারা বেগমের নামে একই মৌজার আর,এস ১০৯১ নং খতিয়ানে ৮ টি দাগে ৫ একর ১৮ শতক জমি আনোয়ারা সহ তার স্বামী হাবিবুর রহমান, এক পুত্র ও এক কন্যার নামে রেকর্ড হয়। আর,এস প্রজা খোদেজা বেগম ও আনোয়ারা বেগম দিংদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ভোগদখল থাকা অবস্থায় তাদের কাছ থেকে তালা উপজেলার মাগুরা গ্রামের বাবুর আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলাম ৯ একর ৮২ শতক জমি কেনেন। এদিকে তফসিল বর্ণিত সম্পত্তি কিনে প্রতিপক্ষ মীর আসাদুজ্জামান কর্তৃক বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন ভুক্তভোগী সিরাজুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ তুলে বলেন, আসাদুজ্জামান প্রশাসনিক বিভিন্ন দপ্তরে আমাকে হয়রানি করার নিমিত্তে বিভিন্ন সময় মিথ্যা বানোয়াট, ভিত্তিহীন অভিযোগ খাড়া করছে। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।