সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
দুর্বল হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার ট্রাফিক ব্যবস্থা। এতে করে প্রতিনিয়ত শহরে বাড়ছে দীর্ঘ যানজট। সরজমিনে দেখা গেছে শুক্র ও শনিবার ব্যতীত প্রায় প্রতিদিনই শহরের প্রধান প্রধান সড়ক গুলোতে তীব্র যানজট লেগে আছে। যার কারণে প্রতিদিন যাত্রী, পথচারী ও চালক এবং শহরবাসীকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
গত দু’তিন মাস ধরেই সাতক্ষীরা শহরের বিভিন্ন সড়ক ও পয়েন্টে এমন দীর্ঘ যানজট লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর মূল কারন হচ্ছে শহরে যখন তখন তেলের লরি, ট্রাক, বড় গাড়ি এবং অবৈধ ইজিবাইক ও মটর চালিত ভ্যান অবাধে শহরে প্রবেশ করছে।
অভিযোগ উঠেছে, সাতক্ষীরা ট্রাফিক বিভাগ নাম্বার বিহিন ইজিবাইক ও অন্যান্য যানবাহন মালিক ও চালকদের কাছ থেকে মাসোহারার বিনিময়ে শহরে যানবাহন প্রবেশের সুযোগ করে দেন। যার ফলে শহরে এমন তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
বিশেষ করে শহরের নাজমুল সরণী, শহীদ আ, রাজ্জাক পার্ক রোড, সংগীতা সিনেমা হল, নিউ মার্কেট সড়ক, খুলনা রোড মোড়, নারিকেলতলা, টাউন বাজার ব্রিজসহ বিভিন্ন গুরত্বপূর্ণ পয়েন্টে ঘন্টার পর ঘন্টা যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে। এসব গুরত্বপূর্ণ স্থানে ট্রাফিক পুলিশ নিয়মিত দায়িত্ব পালন করলেও তেমন একটা যানজট নিরসন হতে দেখা যায়নি।
সচেতন মহলের দাবি দিনের বেলায় বড় যানবাহন শহরে প্রবেশ এবং সেই সাথে নাম্বারবিহীন ইজিবাইক-মোটরসাইকেলের অতিমাত্রার কারণে এ যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। সেই সাথে শহরজুড়ে খোড়াখুড়ি করে বিভিন্ন ক্যাবল লাইন টানার ফলে রাস্তা সংকুচিত হওয়ায় বেড়েছে যানজট।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) মোঃ শাহাবুদ্দীন মোল্লা যানজটের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ইদানিং শহরে একটু যানজট বেশি এটি সত্যি কথা। তবে আমাদের ফোর্স সর্বক্ষণ নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছে। এখানে রাস্তার তুলনায় অতিরিক্ত অটোবাইকসহ যানবাহনের সংখ্যা বেশি। নাম্বার বিহিন যানবাহন থেকে মাসোয়ারা নিয়ে শহরে প্রবেশ করতে দেয়ার প্রসঙ্গে তিনি তা অস্বীকার করে বলেন, এখন যে সময় এসব করার কোন সুযোগ আছে…? আপনি বলেন..! নাম্বারবিহিন গাড়ির বিরুদ্ধে আমাদের যে ব্যবস্থা নেয়ার তা অব্যাহত আছে। আমরা দ্রুতই অবৈধ গাড়িগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।