বাংলার ভোর প্রতিবেদক
রোববার সকালে যশোর জেলা নদী রক্ষা কমিটির সভা কালেক্টরেট সভা কক্ষ অমিত্রাক্ষরে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সভায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম বলেন, জেলার নদীগুলোর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে হবে। কোন ঘেরের কারণে পানি প্রবাহ বাধাগ্রস্থ হচ্ছে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে অপসারণ করতে হবে। জেলার নদ-নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হবে। জেলার নদীর তালিকা প্রকাশ করে তাতে মানুষের আপত্তি আছে কিনা সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসীর মতামত গ্রহণ করা হবে। একই সাথে নদী দূষণমুক্ত করতে অভিযান পরিচালনা করতে পরিবেশ অধিদপ্তরের উপরিচালককে বলা হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) সুজন সরকার লিখিত রেজুলেশন উপস্থাপন করে জানান, আদালতের আদেশ অনুসারে যশোর জেলার সকল নদনদী দখলদার উচ্ছেদ করার লক্ষ্যে সাশ্রয়ী বাজেটসহ সময়বদ্ধ কর্মপরিকল্পণা প্রণয়নে কমিটির গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
এছাড়া পানি দূষণমুক্ত করতে কচুরিপনাসহ ময়লা পরিস্কারের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দেয়া হয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এমদাদুল হক বলেন, শহরের ভৈরব নদ, মণিরামপুরের হরিহর ও বাঘারপাড়ার কাজলা নদী দূষণ মুক্ত করতে ২৬টি প্রতিষ্ঠানকে কারণ দর্শানোসহ জরিমানা করা হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জি এম রাইসুল ইসলাম বলেন, জেলা নদনদীর খসড়া তালিকা অফিসের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে জনসাধারণের কোনো আপত্তি আছে কিনা তা দেখতে হবে। নদ-নদী গুলো হচ্ছে নবগঙ্গা, ভৈরব, চিত্রা, ইছামতি-কালিকান্দিত, কপোতাক্ষ, বেতনা, আফ্রা, মুক্তেশ^রী, হরিহর, হাপরখালী, কোদলা, শ্রীহরি, টেকা, হাকর, আতাই, কোদালিয়া, আমড়া খালী ও দায়তলা ।
শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী নাজিব হাসান বলেন, শার্শার বেতনা নদীর অভ্যয়াশ্রম থেকে অনেকেই বিধি বহির্ভুতভাবে মাছ ধরছে বলে অভিযোগ পাওয়ায় সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভূপালী পাল বলেন এলাকাবাসীর কাছ থেকে শুনেছেন তার উপজেলা হরিহর নদীর অংশ প্রবাহবান ছিল। কিন্তু তিনি জানেন না। সিএস ম্যাপের জন্য জরিপ অধিদপ্তরে চিঠি দিয়েছেন। সেখান থেকে ম্যাপ পাওয়ার পর নদী আছে কিনা সেটা পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানো হবে।