বাংলার ভোর প্রতিবেদক
আমার ফুল চাষ জীবনে এবারই প্রথম বাসের ছাদ থেকে ৩০ হাজার টাকার ফুলের খাচি গায়েব হয়ে গেছে। গদখালী থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ফুল পাঠানোর নিরাপদ কোনো ব্যবস্থা নেই। ফুল ব্যবসায়িরা আমাদের বলে, “নিরাপদে ফুল পাঠাবা”। কিন্তু আমরা কি করে নিরাপদে ফুল পাঠাবো। বাসের ছাদে ফুল তুলে দিই। শ্রমিকেরা ফুল পৌঁছে দেয়। নিরাপদে ফুল গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্যে সরকারকে উদ্যোগ নিতে হবে’।
কথাগুলো বলছিলেন যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার হাড়িয়া গ্রামের ফুলচাষি সাজেদা বেগম। মঙ্গলবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রুরাল রিকনস্ট্রাকশন ফাউণ্ডেশনের (আরআরএফ) উদ্যোগে যশোর শহরের কারাবালা এলাকায় সংস্থার সভাকক্ষে স্মার্ট প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। কর্মশালায় মূল ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন প্রকল্পের ফোকাল পার্সন কৃষিবিদ ড. অসীত বরণ মন্ডল।
ধারণা পত্রে বলা হয়েছে, পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউণ্ডেশনের (পিকেএসএফ) অর্থায়নে (ঋণ ও অনুদান) ৫৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার এই প্রকল্পের আওতায় যশোর ও ঝিনাইদহের চার উপজেলার ১ হাজার ২০০ ফুলচাষির দক্ষতা উন্নয়ন ও ব্যবসা সম্প্রসারণ ঘটবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর যশোর অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক আলমগীর বিশ্বাস, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক কৃষিবিদ সুনীল কুমার বিশ্বাস, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ঝিনাইদহের উপ পরিচালক ষষ্টি চন্দ্র রায়, হর্টিকালচার যশোরের উপপরিচালক দিপংকর দাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আরআরএফ’র পরিচালক (ক্ষুদ্রঋণ) অরুণ কুমার বিশ্বাস।