রাজগঞ্জ সংবাদদাতা
মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রতনদিয়া গ্রাম বন্যা কবলিত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। অতিসাম্প্রতিক টানা বর্ষণের পানিতে গত ১৫ দিন ধরে এ অঞ্চলে পাবিন্দি অবস্থায় কাটাচ্ছে অধিবাসীরা।
এমনকি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এসব ভুক্তভোগীদের জোটেনি কোন সরকারি-বেসরকারি ত্রাণও।
সরেজমিনে উপজেলা চালুয়াহাটি ইউনিয়নের রতনদিয়া গ্রামের পূবালী, শেখপাড়া, দফাদার পাড়াসহ ধুপাডাঙ্গা গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বাড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এছাড়া গুপীকান্তপুর গ্রামের পূর্ব দিকে অধিকাংশ বন্যার পানি ঘর বাড়িতে উঠেছে। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় প্রতিটি বাড়ি ঘরে বন্যার পানিতে ২-৪ ফুট তলিয়ে রয়েছে। রতনদিয়া গ্রামের জামায়াত নেতা আব্দুস সালাম শেখ বলেন, এর আগে ঘূর্ণিঝড়ে অনেকের ঘরবাড়ি ভেঙ্গেচুরে পড়লেও দেখার কেউ ছিল না।
১৫ সেপ্টেম্বর থেকে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় গ্রামের প্রতিটি মাটির ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ।
এখন পর্যন্ত সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন সাহায্য সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এছাড়া ধোপাডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ নিম্নাঞ্চলে অধিকাংশ বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে। সড়কের ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা চলাচল করছে।
চালুয়াহাটি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাইফুল্লা দফাদার বলেন, দিন দিন পানি বৃদ্ধি হওয়ার কারণে আমাদের গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী নিম্নাঞ্চলের ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়েছে।
তাদের কোন ত্রাণের ব্যবস্থা এখনোও পর্যন্ত হয়নি। অনেকে গরু ছাগল নিয়ে গ্রাম ছাড়া অন্যত্র চলে গেছেন। আবারা কেউ আশেপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন।
ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ সরদার বলেন, তার ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। সরকারি বেসরকারি ভাবে,এখনো সাহায্যের সহযোগিতা পায়নি।