ভিপি ইলিয়াস, ঝিকরগাছা
যশোদের ঝিকরগাছায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ২০ ফুট নিচে নেমে গেছে এর ফলে বোরো ধান উৎপাদন ব্যাহতের আশঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা শঙ্কিত।
যশোরের ঝিকরগাছায় ভূগর্ভস্থ পানির স্তর ১০ থেকে ২০ ফুট নিচে নেমে যাওয়ার ফলে চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ১৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ ১ হাজার ৫৯৫ হাইব্রিড এবং ১৭ হাজার ৬৮০ হেক্টর উফশী ধান উৎপাদন ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৬ হাজার ৯৩৫টি সেচ যন্ত্রের মধ্যে গভীর নলকূপ ৩১৬ টি, অগভীর নলকূপ ৬ হাজার ৫৬৮ টি, এল এল পি ৪৮ টি এবং সৌর শক্তি নলকূপ ৩ টিতে পূর্বের তুলনায় এখন কম পানি উঠছে বলে অধিকাংশ চাষীরা জানিয়েছেন। ঝিকরগাছা উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যে সব বোরো চাষ দেরিতে শুরু হয়েছে সেগুলো সামান্যই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পায়রাডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ইনামুল হক রঞ্জু জানান এক বিঘা জমিতে ধান চাষ করতে ১০/১২ হাজার টাকা খরচ হয়। সেখানে আমাদের ধান উৎপাদন হয় ২৫ থেকে ৩০ মন। যার বাজার মূল্য ৩০ থেকে ৩৩ হাজার টাকা। এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশা করছি ধান উৎপাদনে কৃষক লাভবান হবে। কিন্তু ধানে বাল আসার আগেই ভূগর্ভস্থ পানি স্তর নিচে নেমে যাওয়াই সেচ কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমনটা হলে কৃষকরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।
১০-১২ দিন পর থেকেই ধান কাটা শুরু হবে। কিন্তু ধানে ফুল আসার আগেই যদি পানি সংকট দেখা দেই তাহলে ধান গুলো চিটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিকেলে মল্লিকপুর গ্রামের গভীর নলকূপের সেচ ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন লিটন জানান, আমার নলকূপের পানি স্তর ২৫ ফুট নিচে নেমে গিয়েছে এ কারণে আমি আজ মঙ্গলবার বিএডিসি (বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন) যশোর অফিসে এসেছি তাদের সহযোগিতা নেয়ার জন্য।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, ঝিকরগাছায় স্থানভেদে পানির স্তর ১০ থেকে ২৫ ফুট নিচে নেমে গেছে। তবে সঠিক পরিসংখ্যান আমার কাছে নাই।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) ঝিকরগাছা উপজেলা সিনিয়র কৃষি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমরা জানতে পেরেছি পানির স্তর নিচে নেমে গিয়েছে, তবে কি পরিমাণ নিচে নেমেছে এ মুহূর্তে সঠিক পরিসংখ্যান বলতে পারছিনা। তবে ধানে ফুল আসার পরেই পানির স্তরে নিচে নেমেছে। যে সকল ধান ক্ষেতে ধানে ফুল আসার আগেই পানি সংকট দেখা দিয়েছে, সে সকল এলাকায় ধানের চিটা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা খুব সামান্যই।
কৃষি অফিস জানিয়েছে, এ মৌসুমে সর্বমোট ১৯ হাজার ২৮০ হেক্টর জমির মধ্যে হাইব্রিড ১ হাজার ৫৯৫ হেক্টর জমিতে এবং উফশী ১৭ হাজার ৬৮৫ হাজার হেক্টর জমিতে চাষ হয়েছে।
##