বাংলার ভোর প্রতিবেদক
পানকে অর্থকারী ফসল হিসেবে চিহ্নিত করে এর উৎপাদনকারী ও এর সাথে যুক্ত লাখো মানুষকে বাঁচাতে এবং পানের বাজারে সৃষ্ট ভয়াবহ পতন রোধে ১০ দফা দাবিতে এক স্মারকলিপি জমা দিয়েছে যশোরের পান চাষি সমিতির নেতাকর্মীরা। বুধবার সকালে যশোরের জেলা প্রশাসকের দপ্তরের মাধ্যমে কৃষি মন্ত্রণালয়ে এই স্মারকলিপি পাঠানো হয়।
স্মারকলিপিতে জানানো হয়, পান দেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্থকরী ফসল এবং এটি দেশের অর্থনীতিতে ৩ থেকে ৪শ’ কোটি টাকার মতো বৈদেশিক মুদ্রা যোগান দিয়ে থাকে। তবে, বর্তমানে পান চাষিদের অবস্থা মহাসংকটে। পান চাষের ব্যয় বৃদ্ধি এবং অন্যদিকে সরকারিভাবে রপ্তানি শুল্ক প্রতি কেজিতে ১ ডলার থেকে ৫ ডলার বৃদ্ধি করায় রপ্তানিকারক দেশগুলো পান নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে পানের বাজারদরে বড় ধরনের পতন ঘটেছে। এতে অনেক পান চাষি ব্যাংক ও এনজিও ঋণের দায়ে ভিটা ছাড়া হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
স্মারকলিপিতে উত্থাপিত মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, পান রপ্তানিতে বৃদ্ধিকৃত শুল্ক অবিলম্বে বাতিল এবং রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য সকল বাধা সৃষ্টিকারী আইন-কানুন দূরিকরণ, আপতকালীন সময়ের জন্য পান চাষিদের এনজিও ঋণের কিস্তি বন্ধ, শুধুমাত্র রপ্তানিকারকদের নয়, উৎপাদক পান চাষিদেরও প্রণোদনা দেয়া এবং পান চাষের সকল উপকরণের দাম কমানোসহ পান গবেষণা কেন্দ্র, আধুনিক পান সংরক্ষণাগার ও পান শিল্প তৈরি।
এছাড়া পান চাষিদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, পান বরজের জমি থেকে অধিক খাজনা নেয়া বন্ধ, পান চাষ বীমা চালু এবং জাতীয় পান বোর্ড চালু করার দাবিও জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পান চাষি সমিতি যশোর জেলার উপদেষ্টা তসলিমুর রহমান, জিল্লুর রহমান ভিটু এবং সদস্য মিজানুর রজমানসহ জেলা কমিটির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। কমিটির পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
