রাজগঞ্জ প্রতিনিধি
মনিরামপুর উপজেলা রাজগঞ্জে পারখাজুরা বাঁওড়ের মাছ লুটের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। যার নং ২৯/১৪৯।
ঘূর্ণিঝড় রেমাল’র দুর্যোগের মধ্যে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে একটি বাহিনী পারখাজুরা বাঁওড়ে হামলা চালিয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় কয়েকজন বাঁওড় মালিককে মারপিট করে গুরুতর জখম করা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২২ সালে হাকিমপুর পারখাজুরা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি সরকারের কাছ থেকে পারখাজুরা বাঁওড় ইজারা গ্রহণ করেন। ওই সময় বাঁওড়ের টেন্ডারে প্রতিপক্ষ ছিলেন জাহিদ, তরিকুল, আনিসুর ও শফিকুল গংরা। তারা বাওড় ইজারা না পাওয়ায় সেই থেকে ইজরা মালিপক্ষের উপর বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি ও ভয়-ভীতি দিতে থাকে এবং মাছ ধরার জন্য বিভিন্ন সময় বাওড়ে হামলা চালায়।
এক পর্যায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে গত ২৬ মে সকাল ছয়টার দিকে, জাহিদ, তরিকুল, আনিসুর ও শফিকুল এর নেতৃত্বে বিভিন্ন গ্রামের সন্ত্রাসী বাহিনী একত্রিত করে পারখাজুরা বাওড়ে হামলা চালিয়ে মাছ লুট করে। এ সময় সংবাদ পেয়ে মালিক পক্ষের কয়েকজন সদস্য ঘটনাস্থলে আসলে ওই বাহিনীরা তাদেরকে লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর জখম করে ও প্রায় ৬লক্ষ টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এসে গুরুতর জখম অবস্থায় আহতদের যশোর সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। এর মধে্য গুরুতর আহতরা হলেন, আতিয়ার রহমান, আলিম, আক্তার ও আরিফ। এ ছাড়াও আরোও ৫/৭ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ইজারা মালিক সদস্য মনিরুজ্জামান মন্টু বাদী হয়ে রামপুর গ্রামের জাহিদ, গোলাম, মহসিন, কানাই কাদের,আখতারুল রহমান, হায়দার মোল্লা, মিনাজ, তরিকুল, সেলিম, আনার,টিটু ও পারখাজুরা গ্রামের আবুজার,রাইসুল ও আনিসুর এবং হাকিমপুর গ্রামের শফিকুল, সালামসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো ১০/১২ জনকে আসামি করে মণিরামপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।