বাংলার ভোর প্রতিবেদক
একটি মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে যশোর পিবিআই ইজিবাইক ছিনতাইকারী চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার ও ৬টি ইজিবাইক উদ্ধার করেছে। শুক্র ও শনিবার দু’দিন ধরে যশোর ও মাগুরায় অভিযান চালিয়ে এই ইজিবাইক উদ্ধার ও ছিনতাইকারী চক্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শনিবার রাতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কেকানিয়া গ্রামের রাফি শেখ রাব্বি (২৭) ও ঘোড়াদাড়ি গ্রামের আশিকুর রহমান শাকিল (২৬), মাগুরা সদর উপজেলার সাতদোহাপাড়া গ্রামের আমিনুর ইসলাম (৪০) ও নাইমুল ইসলাম (৪১) এবং মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের এমেজ লস্কর (৩২)।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন জানান, গত ২২ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের সালমান হোসেনকে চেতনানাশক মিশ্রিত খাবার খাইয়ে কেশবপুরের মঙ্গলকোট এলাকা থেকে তার ইজিবাইক ও মোবাইল ফোন নিয়ে যায় যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা। গত ১৪ মার্চ সালমান যশোর পিবিআই অফিসে অভিযোগ জানালে পিবিআই ছায়াতদন্ত শুরু করে।
একপর্যায়ে সালমানের খোয়া যাওয়া মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ১৫ মার্চ যশোর শহরের গাড়িখানা এলাকা থেকে আশিকুর রহমান শাকিল ও রাফি শেখ রাব্বিকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় আসামি শাকিলের কাছ থেকে সালমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া বাজার থেকে আমিনুর ও এমেজ লস্করকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় সালমানের ইজিবাইকসহ আরও একটি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মাগুরা শহরের ঢাকা রোডের শিকদার অটো হাউজ মালিক নাইমুল ইসলামকে গ্রেফতার এবং তার দোকান থেকে আরও একটি ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়। এরপর আসামিদের তথ্য অনুযায়ী আরো ৩টি চোরাই ইজিবাইক উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা পিবিআইকে জানিয়েছে, তারা ইজিবাইক ছিনতাই ও চোরাই ইজিবাইক বিক্রয় দলের সক্রিয় সদস্য। তারা যশোর জেলায় কেশবপুর ও মণিরামপুর থানা এলাকা হতে উল্লেখিত ইজিবাইকগুলি ছিনতাই করে মাগুরাসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করে। আসামি শাকিল ও রাব্বি, তারা কৌশলে সালমানকে চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত বিস্কুট ও পানি পান করিয়ে ইজিবাইক চুরি করে নিয়ে যায়।
পিবিআই যশোরের পুলিশ সুপার রেশমা শারমিন আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর ইসলাম ও নাইমুল ইসলাম চোরাই ইজিবাইক সংরক্ষণ, ক্রয় ও অসাধুভাবে জ্ঞাতসারে চোরাই ইজিবাইক গোপন করার অপরাধের জড়িত মর্মে স্বীকার করলে শনিবার বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, কেশবপুর ও বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত, মনিরামপুরে সোপর্দ করা হয়। মামলার তদন্ত অব্যহত রয়েছে।