কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) সংবাদদাতা:
প্রতিবন্ধি, বয়স্ক, গর্ভবতী ও বিধবা ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে দুইজন আটক হয়েছে। জানা গেছে, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা ইউনিয়নের মাঘুরালী গ্রামে দুই প্রতারক মহিলাদের বিভিন্ন ভাতা কার্ড করার নামে টাকা হাতিয়ে নেয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়েছেন। এই চক্রের প্রধান নারাণপুর গ্রামের মিজানুর রহমান (৪২) ও তার সহযোগী আবু সালেক (৪৫)।
শনিবার সকালে উপজেলার মাঘুরালী গ্রামের আবু বক্কারের স্ত্রী ময়নাকে প্রতিবন্ধী ভাতা বাবদ বড় অংকের অনুদান কার্ড করে দেয়ার নামে দেড় হাজার টাকা দাবি করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ময়নার কাছ থেকে প্রতারক মিজানুর দেড় হাজার টাকা হাতিয়ে নেন। একই সাথে ময়নার শ্বাশুড়ি আনোয়ারাকে বয়স্ক ভাতা কার্ড দেয়ার নামে এক হাজার আট শত টাকা দাবি করেন। তাৎক্ষণিক আনোয়ারা তিনশত টাকা তাদের দেন।
এ ঘটনার সপ্তাহ খানেক আগে বিশেলক্ষী গ্রামে গর্ভবতী ভাতা কার্ডের নামে আবু বক্কারের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন দেড় হাজার টাকা।
ভুক্তভোগী আবু বক্কার বলেন, আমার সন্তান জন্মগ্রহণ করেছে কয়েকমাস হলো। তবে আমাকে প্রতারক মিজানুর বলেছিলো স্ত্রীর গর্ভধারণের কাগজপত্র ও দেড় হাজার টাকা দিলে এক সপ্তাহের মধ্যে ভাতা কার্ড আসবে। এই প্রতারক আমার বাড়ির পাশে শফিকুলের কাছ থেকেও টাকা নিয়েছে।
এ সময় প্রতারক চক্রের কাছে পাওয়া যায় বেশ কয়েকটি প্রতিবন্ধী কার্ডের খালি ফরম, বিভিন্ন এলাকার মহিলাদের আইডি কার্ডের ফটোকপি, ছবিসহ বিভিন্ন কাগজপত্র, মেডিকেল অফিসারের নকল সিল ও ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট।
নলতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান জানান, আমার ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার সিরাজুল ইসলাম আমাকে মুঠোফোনে জানালে আমি তখনই ঘটনাস্থলে দফাদার পাঠিয়ে প্রতারক মিজানুর ও আবু সালেককে পরিষদে এনে আটকে রাখি এবং থানায় খবর দিলে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।