শেখ জালাল উদ্দীন
বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার। এই দীর্ঘ সময় অতিক্রম হলেও যশোরে কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে জামায়াতে ইসলামী কোন কেন্দ্রীয় আমীর কখনও বক্তব্য রাখেনি। অথচ দেশের বৃহতম রাজনৈতিক দলের প্রধানরা এ মাঠে একাধিকবার সম্মেলন করেছেন। যশোর জামায়াতে দীর্ঘদিনের সেই আক্ষেপ ঘুচবে ২৭ ডিসেম্বর। এদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর আসছেন যশোরে । এ দিন তিনি এই ঐতিহাসিক ময়দানে দলের কর্মীদের উদ্দেশ্য বক্তব্য রাখবেন। স্বাধীনতার পর শীর্ষ নেতার আগমন উপলক্ষে যশোরে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। নগর থেকে গ্রামে উৎসবের আমেজ। জেলাজুড়ে রাস্তায় রাস্তায় তোরণ, ব্যানার, পোস্টার সাটানো হয়েছে।
আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে এলাকাবাসীকে শুভেচ্ছা জানাতে শুরু করেছে। চলছে প্রচার লিফলেট, মিছিল, ওয়ার্ড ও মহল্লায় মতবিনিময় সভা। প্রতিদিনই কোন না কোন স্থানে প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। ব্যস্ত সময় পার করছেন যশোরে জেলা, উপজেলা, থানা ও ইউনিয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। সমাবেশে প্রায় দুই লাখের বেশি কর্মীর সমাগমের প্রত্যাশা করছে যশোরে জেলা জামায়াত।
যশোর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক গোলাম কুদ্দুস বলছেন, দলীয় প্রধানের আগমনী বার্তায় পুরো যশোর জুড়েই নেতাকর্মিদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। কারণ এদিন স্বাধীনতার পর কোন জামায়াতের আমীর এ ময়াদানে বক্তব্য দিবেন।
যশোর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি বলেন, আমীরে জামায়াতের আগমন উপলক্ষে যশোরের সব নেতাকর্মীরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
ইতোমধ্যে মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। প্রায় দুই লাখ কর্মী এ সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন। আমীরে ভাষণ প্রচার করতে শহরজুড়ে আগেই লাগানো হবে ১৩০টি মাইক। মাইক লাগানোর কাজ চলছে। মাঠের চারপাশে ইতিমধ্যে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এ বিষয় অবহিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আগামী শুক্রবার হবে জেলা জামায়াতের জন্য একটি ঐতিহাসিক দিন ।