বাংলার ভোর প্রতিবেদক
সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে একজন নারী চিকিৎসককে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণের পর প্রতারণার মাধ্যমে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে বেনজির হোসেন (৪২) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর ডিবি পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন, তিনটি সিম কার্ড, পাসপোর্ট ও চারটি চেকের পাতা উদ্ধার করা হয়। অভিযুক্ত বেনজির নড়াইল সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, চিকিৎসা নিতে আসার সুযোগে বেনজিরের সঙ্গে তার পরিচয় হয়।
এর পর থেকে বেনজির নানাভাবে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তিনি নিজেকে সেনাবাহিনীর একজন মেজর এবং ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজ থেকে লেখাপড়া করেছেন বলে জানান। একপর্যায়ে বিয়ের আশ্বাসে ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তাদের মধ্যে ৩-৪ বার শারীরিক সম্পর্কও হয়। অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও গোপনে মোবাইল ফোনে ধারণ করে রাখেন অভিযুক্ত বেনজির।
পরে নানা কায়দায় ভুক্তভোগী চিকিৎসকের কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। টাকা ফেরত চাইলে ভাড়াটিয়া গুন্ডা দিয়ে তাকে হত্যার পর একমাত্র ছেলে সন্তানের ক্ষতি করার হুমকি দেন বেনজির। একপর্যায়ে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন, অভিযুক্ত বেনজির আসলে কোনো সেনা সদস্য না। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে সুবিধা নেয়া তার পেশা। এ অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী নারী চিকিৎসক বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন।
ভুয়া মেজরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হক ভুঞা। তিনি বলেন, গ্রেপ্তারের পর বেনজির অভিযোগ স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় পর্নোগ্রাফি, প্রতারণাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। আটক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।