বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বিরুদ্ধে এবার দেড় কোটি টাকার চেক ডিজঅনারের আরও দুটি মামলা হয়েছে। বুধবার কমার্শিয়াল ব্যাংকের পক্ষে যশোর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার মুর্তুজা আহম্মেদ মামলা দুটি দায়ের করেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শান্তনু কুমার মণ্ডল অভিযোগ আমলে নিয়ে দুই মামলাতেই সমন জারির আদেশ দেন। তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু শহরের পুরাতন কসবা কাঁঠালতলার বাসিন্দা। এর আগে গত ১৬ অক্টোবর ৯০ লাখ টাকার চেক ডিজঅনারের অভিযোগে একই ব্যাংক কর্মকর্তার দায়ের করা দুটি মামলা আদালত গ্রহণ করেন। মাত্র ১৩ দিনের মাথায় এবার দেড় কোটি টাকার আরও দুটি চেক ডিজঅনারের মামলা দায়ের হলো।
একটি মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, তৌহিদ চাকলাদার ফন্টু ইউসিবি ব্যাংকের ধ্রুব পদ্ধতির মাধ্যমে এক কোটি টাকা বিনিয়োগ সুবিধা নেন। চুক্তি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ আগস্টের মধ্যে আসল ও লভ্যাংশ পরিশোধ করার কথা ছিল।
বর্তমানে তার কাছে এক কোটি ২৯ লাখ ৬১ হাজার ৪৪ টাকা পাওনা রয়েছে। গত ২০ আগস্ট বাদী ফন্টুর সঙ্গে দেখা করে পাওনা টাকা দাবি করলে তিনি এক কোটি টাকার একটি চেক প্রদান করেন। কিন্তু সেটি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের যশোর শাখায় জমা দেয়ার পর তা ডিজঅনার হয়। পরবর্তীতে ২৮ আগস্ট লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও ৩০ দিন পার হয়ে যাওয়ার পরও ফন্টু কোনো সাড়া দেননি। এরপর বাদী আদালতে মামলা দায়ের করেন। অন্য মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, একই প্রক্রিয়ায় ফন্টু ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ৫০ লাখ টাকার বিনিয়োগ সুবিধা নেন। ২০২৪ সালের ৩১ আগস্ট ওই টাকা পরিশোধের কথা ছিল। তবে আজও তিনি তা পরিশোধ করেননি। বর্তমানে ওই হিসাবে ৬৪ লাখ ৩৯ হাজার ১৭২ টাকা পাওনা রয়েছে। গত ২১ আগস্ট ফন্টুর সঙ্গে দেখা করে টাকা চাইলে তিনি ৫০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। সেটিও ব্যাংকে জমা দেয়ার পর ডিজঅনার হয়। ২৮ আগস্ট তাকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হলেও ৩০ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনো প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় বাদী আদালতে আরও একটি মামলা করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বিচারক পৃথক দুটি অভিযোগই আমলে নিয়েছেন। দুই মামলায় আসামি তৌহিদ চাকলাদার ফন্টুর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়েছে এবং আগামী ২৫ মার্চ আদালতে হাজির হতে তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

