স্বাধীন মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) কর্মচারী পরিদপ্তর থকে পাঠানো এক অফিস আদেশে বাপাউবো যশোরের উর্ধতন হিসাব সহকারী মো. মহাসিন আলীকে বাপাউবো পাবনা অফিসে বদলি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক চিঠির মাধ্যমে যশোর অফিসকে অবহিত করেন বাপাউবো’র উপ-পরিচালক গোলাম ফারুক। শুধু বদলি নয় তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দপ্তরাদেশে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই তদন্ত কমিটির আহবায়ক করা হয়েছে বাপাউবো ঢাকা অফিসের উপ পরিচালক মু: নুরুল আমীনকে। একই কমিটির সদস্য সচিব করা হয়েছে বাপাউবো’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক সাদেকুর রহমানকে।
এর আগে দৈনিক বাংলার ভোর পত্রিকায় যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন হিসাব সহকারী ‘দুর্নীতির বরপুত্র মহাসিন আলী’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর মহাসিনের রামরাজত্বের বিষয় নজরে আসে সংবাদকর্মীসহ সমাজের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের। জেলা পর্যায়ে দুদকের গণশুনানিতে মহাসিন আলীকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। একই অফিসে ১৭ বছর চাকরি করার সুবাদে তার অনিয়ম ও দুর্নীতির শেকড় অনেক গভীরে চলে গেছে বলে গণশুনানিতে কঠোর সমালোচনা করেন দুদকের উর্ধতন কর্মকর্তারা।
মহাসিন আলীর বিরুদ্ধে অনিয়মের শেষ নেই। দীর্ঘ ১৭ বছর একই স্টেশনে চাকরি করার সুবাদে তিনি কালো টাকার পাহাড় পড়ে তুলছেন। এছাড়া নামে বেনামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চালানোসহ অন্য কর্মচারিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে বেনামে লিখিত অভিযোগ পাঠানা ও খারাপ ব্যবহারের গুরুত্বর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া আউটসোর্সিংয়ের কর্মচারী নিয়োগের সাথে জড়িত ছিলো। কর্মচারীদের নিয়োগ ও চাকরিচ্যুত করার পর আলোচনায় আসে মহাসিন আলী। চাকরিচ্যুত ভুক্তভোগি পরিবারের সদস্যরা তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকসহ দুদকে লিখিত অভিযোগ করে। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা হওয়ার কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এক টানা ১৭ বছর যশোরে চাকরি করেছেন তিনি।
তার এই বদলির আদেশ ও তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপাউবো অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার বানার্জী।

