বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোরের শার্শা উপজেলায় বাবার মতো পিটিয়ে ছেলেকেও দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে ছেলেকে। উপজেলার কন্যাদহ গ্রামের মুকুল নামে এক যুবককে চাঁদা না দেয়ায় পিটিয়ে হত্যা করা হয়। বুধবার রাতে তাকে পেটানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ঘটনা নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ওসি মনিরুজ্জামান।এদিকে হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানান জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) ওসি রূপন কুমার সরকার।
১৯৯৯ সালে একই ভাবে মুকুলের বাবা আব্দুল আজিজকেও সবার সামনে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে স্থানীয় হাসান মেম্বারসহ বাহিনী প্রধান আয়নালে ছোট ভাই বাবু, তার আরেক ভাই ইমাজ উদ্দিন সহ ১০-১৫ জন চাঁদার দাবিতে মুকুলের বাড়িতে যায়। তারা মুকুলের কাছে তারা দুই লাখ টাকা চাাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিতে চাইলে তাকে বেধড়ক মারপিট করা হয়। এ সময় রক্ষা করতে গেলে মুকুলের ছোট ভাই বকুলকেও পেটানো হয়। বর্তমানে বকুল যশোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
তিনি জানান, মুকুলের অবস্থা খারাপ দেখে অভিযুক্তরা ফেলে রেখে চলে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা দুই ভাইকে যশোর সদর হাসপাতালে আনেন। কিন্তু মুকুলের অবস্থা খারাপ হওয়ায় সেখান থেকে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার রাতে মুকুল চিকিৎরত অবস্থায় মারা যান ঢাকার একটি হাসপাতালে। আর যশোর সদর হাসপাতালে গুরতর অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন বকুল।
যশোর জেলা গোয়েন্দা সংস্থার (ডিবি) ওসি রূপণ কুমার সরকার বলেন, ‘মুকুল হত্যার ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এখন নাম বলা যাচ্ছে না। অভিযান শেষ হলে বিস্তারিত জানাবো। ’
তবে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, হাসান মেম্বার, শাওন ও তাজুকে আটক করা হয়েছে। আর বাহিনী প্রধান আয়নালসহ অন্যদের আটকের চেষ্টা চলছে।
আহত বকুল জানান, ১৯৯৯ সালে একই ভাবে মুকুলের পিতা আব্দুল আজিজকেও সবার সামনে পিটিয়ে মেরে ফেলে আয়নালসহ তার পোষ্য সন্ত্রাসীরা। এ ব্যাপারে আইনালের মোবাইল ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।