বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে অগ্নিবীণা কেন্দ্রীয় সংসদ যশোর আয়োজিত আলোচন সভায় আলোচকরা বলেছেন বৃটিশ ঔপনিবেশিক শক্তি ও তাদের দোসররা কেঁপে উঠেছিল বিদ্রোহী কবির নজরুল ইসলামের অগ্নিঝরা লেখায়। আতংকে কেঁপে উঠেছিল বৃটিশরাজের তখ্তে-তাউস। সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে তার ক্ষুরধার লেখনীতে। কাজী নজরুল ইসলাম সকল অনাচারের বিরুদ্ধে যুগে যুগে বিরাজমান। সেই নজরুল চেতনাকে দেশ জাতি তথা বিশ্বময় ছড়িয়ে দিতে “অগ্নিবীণা” কাজ শুরু করে যাচেছ।
এদিন বিকেল সাড়ে ৫ টায় যশোরের বি সরকার মেমোরিয়াল হলে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর ডক্টর মুস্তাফিজুর রহমান, সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আতাহার রহমানের সভাপতিত্বে আরো আলোচনা করেন যশোর শিক্ষা বোর্ডের সাবেক উপ সচিব আব্দুল খালেক, অগ্নিবীণার সহসভাপতি শিক্ষক নেতা নজরুল ইসলাম বুলবুল অ্যাডভেকেট আফরোজা বেগম, স্বাগত বক্তব্য দেন অগ্নিবীণার সাধারণ সম্পাদক রুমানা খান চৌধুরী, নতুন খয়েরতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান প্রমুখ।
আলোচকরা বলেন, বিদ্রোহী কবির অকুণ্ঠ সাহসী উচ্চারণ এখন গোটা বিশ্বময়‘আমি চির বিদ্রোহী বীর,/ বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা, চির-উন্নত শির। বৃটিশ শাসকরা কবি নজরুল নামে ‘রাজদ্রোহের’ মামলা, অতঃপর এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে ‘বিদ্রোহীকে’ জেলে আটকিয়ে রক্ষা পেতে চাইলেন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে সব সময় সোচ্চার ছিলেন তিনি। নজরুল চর্চা বাড়ানোর উপর জোর দেন তারা।
অনুষ্ঠানে নজরুল সংগীত পরিবেশন করেন শফিকুল ইসলাম নাসিমা ফেরদৌসী, রুমানা খান চৌধুরী, কতুব উদ্দিন বিশ্বাস, আমিনুল ইসলাম লাভলু, লাভলী ঘোষ, শারমিন সুলতানা, ফাতেমা পারভীন,আব্দুস সাত্তার প্রমুখ।
আলোচনার পর নজরুলের উপর বিভিন্ন প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ করা হয়। শেষে কাজী নজরুল ইসলামের জীবন অবলম্বনে নাটক ঝিলমিল মঞ্চস্থ করা হয়। অনুষ্ঠান সাজসজ্জা ও নাটক পরিচালনায় ছিলেন অগ্নিবীণার নাট্য সম্পাদক স্বপন দাশ।