বাংলার ভোর প্রতিবেদক
শুক্রবারের যশোরের আকাশে ঝরছে দিনভর বৃষ্টি। মাঝে দুপুরে আকাশ কিছুটা রৌদ্রজ্বল থাকলেও বিকালে কালোমুখো আকাশের চেহারায় ছিল না হাসি। আবারও ঝরতে থাকে অঝরে বর্ষণ। মাঝে মধ্যে মেঘেরও গর্জন। এমন আবহাওয়ার মধ্যে নাচ, গান আর কাথামালাতে পাঠ্যবইয়ের বাইরে শিশুদের কেটেছে অন্য রকম এক বিকেল।
শহরের শিল্পকলা মিলনায়তনে আনন্দ আয়োজনে মেতে ওঠে শিশুর দল। ব্যতিক্রমধর্মী শিশুশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মৌমাছি ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সৃজনশৈলীর যৌথ আয়োজন করে বাংলার ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে বাংলার সংস্কৃতি উৎসব। বাইরে অবিরাম বৃষ্টি। ভেতরে একের পর এক কচি প্রাণের নাচ আর তাদের মিষ্টি কণ্ঠে গান আবৃত্তিতে বৃষ্টিস্নাত একটা বিকেলে মেতে থাকেন প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থী অভিভাবকসহ দর্শনার্থীরা।
অনুষ্ঠান শুরুতেই বাঙালি ইতিহাস ঐতিহ্যের গানে দলীয় নৃত্য। এর পর পাহাড়ি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন শিশু শিক্ষার্থীরা। মৌমাছি স্কুলের ৮টি শ্রেণীর মোট ২৯০ জন শিশু এবং সৃজনশীল সংগঠনের ৩৫ জন শিশুর অংশগ্রহণে একের পর এক একক, দলীয় সংগীত, কবিতা আবৃত্তিতে মাতিয়ে রাখেন দর্শকদের।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকারের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক হুসাইন শওকত, যশোর আব্দুর রাজ্জাক মিউনিসিপ্যাল কলেজের অধ্যক্ষ জেএম ইকবাল, জেলা সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার আলম খান দুলু, মৌমাছি স্কুল কমিটির সভাপতি তারিকুল ইসলাম তারু, আসিফ আকবর খান নিপুন। মৌমাছি স্কুলের পরিচালক এসএম মাসুম বিল্লাহ সভাপতত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাগর বিশ্বাস।
অনুষ্ঠানে শিশুর বিকাশে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় চিত্রাঙ্কন আবৃত্তি, গান নাচ বিষয়ে ৪টি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান পাওয়া মোট ৪৭ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।