বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর শহরের বেজপাড়া মেইন রোডস্থ পূজারমাঠ এলাকার বাসিন্দা অনিল দেবনাথের ছেলে রিংকু দেবনাথের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট বিক্রির নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। একই সাথে তার বিরুদ্ধে সাম্পদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার রাতে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এলাকার মানুষ।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, বেজপাড়া মেইন রোডের পূজারমাঠের পাশে একটি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন রিংকু দেবনাথ। ভবনটি নির্মাণে পৌরসভার নিয়ম মানেননি তিনি। ভবনের একটি ফ্ল্যাট বিক্রির জন্য একই এলাকার বিশ্বনাথ দত্ত ও ফণীভূষণ পালের কাছ থেকে ৬১ লাখ ১৩ হাজার টাকা গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাদেরকে রেজিস্ট্রি করে দেননি। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর প্রদীপনাথের অফিসে বসে শালিস করা হলে রিংকু দেবনাথ রেজিস্ট্রি করে দিতে সম্মত হয়ে মুচলেকা দেন। এরপরও তিনি ক্রেতাদের ফ্ল্যাট বুঝে না দিয়ে হুমকি দেন।
গত ৬ আগস্ট পাওনাদাররা রিংকু দেবনাথের কাছে আসলে তিনি তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতে থাকেন। এ সময় স্থানীয় আসিফ মাহমুদ তাকে ভদ্রভাবে কথা বলতে বললে তিনি লাঠি দিয়ে তার মাথা ফাটিয়ে দেন। যা নিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করলে রিংকু দেবনাথ সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলে সেনাবাহিনীকে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনে। এক পর্যায়ে গত ১৫ আগস্ট আদালতে তিনি এলাকার নিরীহ কিছু মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা পিটিশন দায়ের করেছেন।
এদিকে, রিংকু দেবনাথের বিরুদ্ধে বাড়ি নির্মাণের সময় আবুল হোসেন ট্রেডার্সের কাছ থেকে রড, সিমেন্ট নিলেও টাকা পরিশোধ করেনি। প্রতিষ্ঠানটির মালিক সিরাজুল এখনও তার কাছ থেকে টাকা বুঝে পাননি বলে অভিযোগ করেছেন।
রিংকু দেবনাথের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ মিথ্যা। কেননা বিশ^নাথ দত্ত ও ফণীভূষণ পাল বাকি টাকা দিতে না পারার কারণে ফ্ল্যাট নিতে পারেনি। যা আদালতের মাধ্যমে মীমাংসা হয়েছে। আর বাড়ি করার পর রড, সিমেন্টের সব টাকা পরিশোধ করেছি। সর্বশেষ গত ৬ আগস্ট আমার বাড়িতে হামলা করে ভাংচুর করেছে আসিফ মাহমুদসহ তার দলবল। সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে রয়েছে। সেনাবাহিনীর টিম এসে দেখে গেছে। বিষয়টি নিয়ে আমি মামলা করার কারণে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক জানান, বেজপাড়ার রিংকু দেবনাথের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ গণস্বাক্ষর দিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখবে।