অভয়নগর সংবাদদাতা
যশোরের অভয়নগরে ভবদহ এলাকার পানি ওঠানামা করে টেকা, মুক্তেশ্বরী, শ্রী ও হরি নদী দিয়ে। আর এই নদীগুলোর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে অসংখ্য ছোট-বড় সরকারি খাল। এসব খাল দিয়ে বিভিন্ন বিলের পানি সরাসরি ওই চার নদীতে গিয়ে পড়ে। পরবর্তীতে ভবদহের ২১, ৯ ও ৬ কপাটের স্লুইস গেট দিয়ে পানি নিষ্কাশন হয়ে থাকে।
বর্তমানে বিভিন্ন বিলের অসংখ্য খাল বেদখল ও পলি জমে ভরাট হওয়ায় পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়েছে। যে কারণে বর্ষা মৌসুমে ভবদহ এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে। অবৈধ দখল ও ভরাট হওয়া খাল চিহ্নিত করণের মধ্যদিয়ে পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে।
রোববার দিনব্যাপি অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের ভবদহ, দামুখালী, দত্তগাতী ও বারান্দি গ্রামের বিভিন্ন খাল চিহ্নিত করণের পাশাপাশি উদ্ধার অভিযানে অংশ নেন যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও অভয়নগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক বাবুল।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) শামীম হোসেন, পায়রা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বাপ্পি মণ্ডল, ইউপি সদস্যগণ, স্থানীয় ক্যাম্প পুলিশ ও গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আবু নওশাদ বলেন, ভবদহ এলাকায় খাল পুনরুদ্ধার অভিযান শুরু হয়েছে। দিনব্যাপি পায়রা ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ঘুরে ভরাট হওয়া ও অবৈধ দখলে থাকা খাল চিহ্নিত করা হয়েছে। অচিরেই বেদখলে থাকা খাল পুনরুদ্ধার করা হবে। এছাড়া ভরাট হওয়া খালের পলিমাটি খননের মধ্যদিয়ে পানিপ্রবাহ ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হবে। আর এই কাজের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছেন যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য এনামুল হক বাবুল।
এ ব্যাপারে যশোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও ভবদহ পানি নিষ্কাশন আন্দোল কমিটির আহবায়ক এনামুল হক বাবুল বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবদহের সমস্যা সমাধানে আন্তরিক। ইতোমধ্যে পানি নিস্কাশনের জন্য ২১ ও ৯ কপাটের স্লুইস গেটে সেচের জন্য বড় বড় পানির পাম্প বসানো হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড, উপজেলা প্রশাসন, ইউনিয়ন পরিষদ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা থাকলে বর্ষা মৌসুমের আগে পানি নিস্কাশনের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ সম্পন্ন হবে।