বাংলার ভোর প্রতিবেদক
চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের ‘হামলার’ প্রতিবাদ ও ‘দিল্লির আগ্রাসনের’ বিরুদ্ধে যশোরে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ। রোববার রাত ৮টার দিকে জাতীয় নাগরিক কমিটি যশোর জেলার ব্যানারে প্রেস ক্লাব যশোরের সামনে থেকে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। মিছিলে ‘জেগেছে রে জেগেছে, বাংলাদেশ জেগেছে’, ‘দিল্লির বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘সীমান্তে হামলা হলে, জবাব দেবে বাংলাদেশ’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা। মিছিলটি চিত্রামোড় হয়ে দড়াটানা ভৈরব চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন নেতৃবৃন্দ।
সমাবেশে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন যশোরের আহ্বায়ক রাশেদ খান বলেন, ‘বাংলাদেশ ভারতীয় আগ্রাসন চায় না। ভারত যদি বাংলাদেশের দিকে আবার আঙুল তোলে তাহলে সেই আঙ্গুল ভেঙে দেয়া হবে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম কৃষক সমাজ অস্ত্র ধরেছিল, ঠিক তেমনিভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জেও একই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বলেন, আগে বিজিবি সাহসিকতার পরিচয় দিয়ে সীমান্ত রক্ষা করেছে, এখন বাংলাদেশের মানুষ সীমান্ত রক্ষায় জীবন দিতে প্রস্তুত। দিল্লি যখন পানির ন্যায্য হিস্যা দেয় না তখন বোঝা যায় তারা বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারে না। ভারত বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু হলে পতিত স্বৈরাচারকে জায়গা দেয়ার দুঃসাহস দেখাত না। তিনি বলেন, ভারতের বিজেপী নেতা শুভেন্দ্র অধিকারী বাংলাদেশের বিভিন্ন ইস্যুতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। তিনি উন্মাদ নেতা। তিনি বাংলাদেশকে ঘিরে যে প্রতিনিয়ত যে হুশকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন; তার জবাব কিন্তু মুক্তিগামি ১৮ কোটি মানুষ জবাব দিতে প্রস্তুত।’
সমাবেশ বক্তব্য রাখেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব জান্নাতুল ফুয়ারা অন্তরা, সংগঠক মোহাম্মদ সোয়েব আক্তার প্রমুখ।