বাংলার ভোর ডেস্ক
শীত শেষ হলেও এর আবেদন যেন শেষ হয় না। রাজধানীতে যখন ভ্যাপসা গরম, তিনি তখন নয়া পল্টনে কয়েকটি মিডিয়ার সামনে ফেরালেন সেই আমেজ। শীতের জন্য কেনা নিজের ‘ভারতীয় চাদর’টি ছুড়ে ফেলে দিলেন রুহুল কবির রিজভী। বুধবার তিনি যখন ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনের ভার্চুয়াল আন্দোলনে সমর্থন’ জানাতে এই প্রতিবাদ করছেন,তার ঠিক দুদিন আগে তারই দলের সিনিয়র নেতা আবদুল মঈন খান জানিয়েছেন অন্য আহ্বান। সাবেক এই মন্ত্রী দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সহযোগিতা করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিবেশী ভারতের উদ্দেশে।
কী হচ্ছে তাহলে বিএনপিতে? ভারত ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান কী, নেতাকর্মী থেকে শুরু করে দলের নীতিনির্ধারকদের কেউ কেউ জানিয়েছেন, তারা পুরো বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না। এমনকি স্থায়ী কমিটির কোনও বৈঠকেও এখন পর্যন্ত ভারত ইস্যুতে কোনও আলোচনাও হয়নি। তাহলে কোন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার রুহুল কবির রিজভী দিলেন নতুন এক ঘোষণা। তিনি নির্বাচন বর্জনকারী ৬৩টি দলের পক্ষ থেকে ভারতীয় পণ্য বর্জনের পক্ষে সংহতি জানিয়েছেন। যদিও ৬৩টি দলের মধ্যে অন্যতম রাজনৈতিক দল ও জোটগুলো কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা জানান, মূলত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের পক্ষে একতরফাভাবে ভারতের পক্ষাবলম্বনের ঘটনাকে চিহ্নিত করা হয়। এরপরই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনায় ভারত ইস্যুতে সক্রিয় বক্তব্য শুরু করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। বিশেষ করে বিদায়ী বছরের ২৮ অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পর রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বেশ কয়েকবার ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করেন। ২৬ নভেম্বর অবরোধ চলাকালীন, ১ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে, ২২ ডিসেম্বর, ২৪ ডিসেম্বর ও ২৬ ডিসেম্বর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সরাসরি ভারতকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, ‘বাংলাদেশের পাতানো নির্বাচনের মদতদাতা ভারত।’
বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, দলের স্থায়ী কমিটির মধ্যে বেশিরভাগ সদস্য দলের বিদেশনীতি সর্বাত্মকভাবে সহিষ্ণু ও সহযোগিতাশীল রাখার পক্ষে। এক্ষেত্রে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা চাইছেন, ভারতের সঙ্গে সরাসরি কোনও বিরোধিতা সৃষ্টি না করে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া।
যদিও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ স্থায়ী কমিটির অন্তত চার জন সদস্য মনে করেন, ‘৭ জানুয়ারিসহ বিগত তিনটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে ভারতই প্রত্যক্ষভাবে দায়ী। আর এ কারণেই দেশটি নানা ধরনের সুবিধা নিচ্ছে বাংলাদেশ থেকে। এ কারণে শীর্ষ নেতৃত্বসহ দলের কয়েকজন নেতা মনে করেন, ‘৭ জানুয়ারির নির্বাচনের জন্য ভারতকে সরাসরি দায়ী করা এবং এজন্য অব্যাহতভাবে চাপ রাখা।’
ভারত ইস্যুতে বিএনপির অন্তত এক ডজন কেন্দ্রীয় প্রভাবশালী নেতা ও দায়িত্বশীলদের সঙ্গে আলাপ করেছে প্রতিবেদক। তাদের মধ্যে অনেকের প্রশ্ন-ভারত ইস্যুতে দল যে পলিসিই গ্রহণ করুক, তা স্পষ্ট করা প্রয়োজন। বিশেষ করে দলের নীতিনির্ধারণী পরিষদ হচ্ছে স্থায়ী কমিটি, এই কমিটির একজন সদস্য যখন ভারতের সহযোগিতা কামনা করেন, দুদিন পর দলের মুখপাত্র রিজভী আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ‘ভারতীয় পণ্য বর্জনে’ সমর্থন জানান, এর মধ্য দিয়ে দলের ভেতরে পলিসি সংক্রান্ত বিভ্রাট ও বিরোধই উঠে আসে কার্যত।
‘আজকের প্রোগ্রাম তো হঠাৎ করেই করা। রিজভী আহমেদ সবাইকে হঠাৎ ডেকে নিচে নিয়ে গেলেন, নিজের চাদর ছুড়ে ফেলে দিলেন মাটিতে। এরপর তিনি অফিসে উঠে পড়েন’, বলছিলেন বুধবার নয়া পল্টনের প্রতিবাদী কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া একজন তরুণ ছাত্রনেতা। তিনি বলেন, ‘আসলে এটা তো অর্গানাইজড কোনও প্রোগ্রাম ছিল না। রিজভী ভাই হঠাৎ ডাকলেন, সবাই অংশ নিলাম। কিন্তু এটা ঠিক যে এ বিষয়ে (ভারত ইস্যু) দলের পলিসি কী, তা কিন্তু আমরা জানি না।’
জানেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকজন সদস্যও। দলের অন্যতম একজন সদস্য এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কে, কীসের ভিত্তিতে ভারতবিরোধী রাজনীতি করছে, এগুলো আমাদের স্থায়ী কমিটিতে কোনও আলোচনা হয়নি। আমি জানিও না। এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কমেন্ট করা হবে সেনসেটিভ। কিছু বলতে চাই না।’
তবে দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমিরের ভাষ্য, ‘আমার মনে হয় বিএনপির আন্তর্জাতিক-কূটনৈতিক পলিসি নিয়ে কোনও রকম দ্বিমতের অবকাশ নেই। দলের কান্ডারি তারেক রহমান পরিষ্কার করেই বারবার বলেছেন, বাংলাদেশ সবার বন্ধু। বিএনপি ও বাংলাদেশ সবার সমান বন্ধু। বিএনপি দেশের স্বার্থের পরিপন্থি যেকোনও কিছুর বিরুদ্ধে। এখন দেশের গণতন্ত্র ব্যাহত করতে যদি কেউ এই সরকারকে সহযোগিতা করে থাকে, সেক্ষেত্রে অবশ্যই বিএনপিরও তাকে বন্ধু মনে করাটা খুব সহজ বা স্বাভাবিক নয়।’
নওশাদ জমির বলেন, ‘দেশে আওয়ামী লীগ বারবার ক্ষমতায় থাকছে একটি মাত্র উপায়ে ও কারণে। সেটি হচ্ছে, আওয়ামী লীগ দেশে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে। এবং এই ধ্বংস প্রক্রিয়ায় সর্বাত্মক ভূমিকা পালন করেছে দেশের বিচার বিভাগ এবং কিছু রাষ্ট্র, যাদের কেবল আওয়ামী লীগই বন্ধু মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ মনে করে না।’
যদিও গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপির সম্প্রতি ভারতবিরোধিতা শুরু করার আগে দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়ানোর তাগিদ ছিল বেশি। ২০২২ সালে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বিক্রম কুমার দোরাইস্বামীর সঙ্গে একান্তে আলাপ করেন বিএনপির একাধিক নেতা। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরের ১৬ মার্চে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বিএনপির পাঁচ জন নেতাকে তার বাসায় নিমন্ত্রণ করেন। এরপর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক মাসে বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্তত দুজন সদস্য দিল্লিতে গিয়ে নানা মহলের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
২০১৮ সালের জুনের প্রথম সপ্তাহে ভারত সফর করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু ও তারেক রহমানের উপদেষ্টা বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ওই সফরে তারা ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি, বিরোধী দল কংগ্রেস, সে দেশের তিনটি এনজিও, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ভারতের কাছাকাছি যাওয়ার অবস্থান থেকে সরে গিয়ে দেশটির পণ্য বর্জন কর্মসূচিতে সংহতি, ধারাবাহিকভাবে দেশটির সমালোচনা করার নতুন এই অবস্থান নিয়ে স্থায়ী কমিটির কোনও সদস্যই স্বনামে উদ্ধৃত হতে সম্মত হননি।
রিজভী আহমেদের চাদর ছুড়ে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় স্থায়ী কমিটির এক সদস্য মন্তব্য বলেন, ‘ভারতের চাদর পরেছিলেন কেন রিজভী। দ্বিতীয় প্রসঙ্গ হচ্ছে, একটি বড় দলে পলিসি সংক্রান্ত বিরোধ থাকাটা স্বাভাবিক। বিএনপিতেও তাই। কেউ লজিক্যালি দেখছে, কেউ সেভাবে দেখছে না কারও পাল্লায় পড়ে। আমি তো মঈন খানের সঙ্গে পুরোপুরি একমত। বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার দল, এ জন্য ভারতসহ সব রাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখেই ক্ষমতায় যেতে হবে।’
‘অতিরিক্ত ভারতবিরোধিতাও সন্দেহ সৃষ্টি করে’ এমন মন্তব্য স্থায়ী কমিটির একজন সদস্যের। তার দাবি, ‘কারও এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে হয়তো দলের কেউ কেউ সক্রিয় হয়েছে বিরোধিতায়।’ এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রধান, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। বুধবার বিকালে তিনি বলেন, ‘আমি দলের প্রোগ্রামে ব্যস্ত। পরে কথা বলতে পারবো।’ বিএনপির ভারত-বিষয়ক কর্মকান্ড নিয়ে দলটির অন্যতম রাজনৈতিক সহযোগী গণতন্ত্র মঞ্চের একজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা বলেন, ‘বিএনপি কী করবে, কী করবে না, এর কোনও সংগতি নেই। একবার দেখা যায় তাদের ভারতপ্রীতি, আরেকবার দেখি ভারতবিরোধী। যখন তখন দলটির নীতি-কৌশল পরিবর্তন হয়, যা সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি মনে করি না।
বুধবার নয়া পল্টনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সর্বত্রই এখন ইন্ডিয়া আউট ক্যাম্পেইনে উত্তাল। ভারতীয় পণ্য বর্জন করে জনগণ প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। জনগণের সামনে পরিষ্কার যে গত তিন দশক আওয়ামী লীগ ভারতের সহযোগিতায় নির্বাচনের নামে তামাশা করে আসছে। গত ৭ জানুয়ারি বিনা ভোটে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করেছে। ভারতের সমর্থন মানে ভোট না দিলেও আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করতে পারে। জনগণের সমর্থনের প্রয়োজন হয় না।’
তিনি বলেন, ‘জনগণ স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ জানাচ্ছেন ‘ভারত হটাও’ আন্দোলনের ডাক দিয়ে। নিরস্ত্র মানুষের একটাই ব্রত এখন—তারা কষ্টার্জিত পকেটের পয়সায় গণধিকৃত আওয়ামী লীগ সরকারের মদতদাতা ও শক্তির উৎস ভারতের পণ্য কিনবে না। এটা কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, বাংলাদেশের অধিকার হারা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন।’’ পরে রিজভী আহমেদ নির্বাচন বর্জনকারী ৬৩টি রাজনৈতিক দলের পক্ষে থেকে সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারতীয় পণ্য বর্জন মানে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারকে বর্জন। কারণ আওয়ামী লীগ একটি ভারতীয় পণ্য। সুতরাং, জনগণের দল হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলসহ (বিএনপি) ৬৩টি গণতন্ত্রকামী দল এবং দেশপ্রেমিক জনগণ ভারতীয় পণ্য বর্জনের এই আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করছে।’ যদিও এই সংহতির বিষয়েও অবহিত নন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। অবহিত নয় কয়েকটি রাজনৈতিক দল ও বড় জোটও। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনকারী জোটগুলোর মধ্যে অন্যতম গণতন্ত্র মঞ্চ। মঞ্চের অন্যতম নেতা, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘এটা নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনা হয়নি, সিদ্ধান্ত হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে ক্যাম্পেইন তাতে নৈতিক সমর্থন আছে। ভারত যেভাবে তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ফ্যাসিস্ট সরকারকে সমর্থন জুগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভারতের শাসকদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ আছে। পণ্য বর্জন প্রতীকী প্রতিবাদ। এর সামাজিক তাৎপর্য আছে।’ মঞ্চের আরেক নেতা দাবি করেন, ‘গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে কোনও আলোচনাই করেনি বিএনপি।’ নির্বাচন বর্জনকারী ৬৩টি দলের মধ্যে রয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট।
জোটের সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘আমি আপনার কাছে প্রথম শুনলাম এ বিষয়টা। বামজোট, সিপিবিসহ আমরা রাজনীতি করছি আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বলয়ের বাইরে। বিএনপির সঙ্গে কোনও পয়েন্টেই একমত হওয়ার সুযোগ নাই।’ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন আরও বলেন, ‘এখন নির্বাচন বর্জনকারী দলের হিসেবে যদি বিএনপি ৬৩ দলের পক্ষ থেকে কোথাও সংহতি প্রকাশ থাকে বলে জানায়, তাহলে সেটা অপরাধমূলক কাজ করছে। আমি মনে করি, তারা এই অপরাধমূলক কাজ থেকে বিরত থাকবে।’
প্রসঙ্গত, ভারতীয় পণ্য বর্জন নিয়ে কর্মসূচি পালন করেছে গণঅধিকার পরিষদ (উভয় অংশ), ১২ দলীয় জোট, লেবার পার্টি। এদিকে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার প্রতিবাদ ও তাদের স্মরণে মসজিদে দোয়া মাহফিল করেছে বিএনপি।