ভোমরা সাতক্ষীরা সংবাদদাতা
সাতক্ষীরা ভোমরা স্থল বন্দরকে অকেজো করতে একটি চক্র তৎপর হয়ে উঠেছে। এরই প্রেক্ষিতে ভোমরা স্থল বন্দরে দিনকে দিন বাড়ছে অস্থিতিশীলতা। বন্দর ঘিরে বেড়েই চলেছে তাদের নানা অপকর্ম। আর এসব অপকর্মে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িয়ে আছে আমদানি ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন নামধারি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে গুটিকয়েক ব্যক্তি। তাদের অন্যায় আবদার মিটাতে না পেরে হেনস্তার যাতাকলে পিষ্ট হচ্ছে সরকারি কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে ভোমরা স্থল বন্দরটিকে ব্যর্থ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য চক্রটি বার বার সরব হয়েছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, বর্তমান সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে ভোমরা বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম ব্যাহত করে দেশকে অস্থিতিশীল করতে বিগত ২০২২ সালের ১৩ আগস্ট জেলার চিহ্নিত গডফাদার ও মাদক চোরাকারবারীদের নেতৃত্বে গঠন হয় আমদানি ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশন। তৎকালীন সময় বিভিন্ন ভাবে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টায় নিমজ্জিত ছিল তারা। একপর্যায় দীর্ঘদিন পর তাদের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে আসলেও ততক্ষণে বন্দর ত্যাগ করেন অনেক ব্যবসায়ীরা। ফলে কার্যত ক্ষতিগ্রস্থ হয় বন্দর আর কমতে থাকে সরকারের রাজস্ব। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সম্প্রতি আবারও বন্দরের কার্যক্রম চাঙ্গা হওয়ায় বাড়ছে আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম। বন্দর অস্থিতিশীলতার ষড়যন্ত্র করতে অপারগ হয়ে তাদেরই এজেন্ট চিহ্নিত জামায়াতের নেতা অহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে রামকৃষ্ণ চক্রবর্তী ও মোশারফ হোসেন আবারও আমদানি ও রপ্তানিকারক এসোসিয়েশনের কমিটি গঠন করে। তবে গডফাদারদের নির্দেশে এবার তারা সাথে নেয় আওয়ামী লীগের দলছুট ও হাইব্রিড নেতাদের। এরই মধ্যে তাদের নেতৃত্বে বন্দর এলাকা অস্থিতিশীল হয়েছে। ফলে ইতিমধ্যে ধীর গতিতে রুপ নিয়েছে বন্দরের আমদানি ও রপ্তানি কার্যক্রম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাস্টমস্ কর্মকর্তা জানান, সরকার নির্ধারিত শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার জন্য কিছু অসাধু এজেন্টদের দাবি না মানায় আমাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার করে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, অসাধু এজেন্টদের দাবি না মানা পর্যন্ত এভাবে তাদের অনৈতিক চাপ প্রয়োগ অব্যাহত থাকবে।
এ বিষয় ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) শেখ এজাজ আহমেদ স্বপন জানান, ভোমরা বন্দর নিয়ে চক্রান্ত নতুন কোন বিষয় নয় এটা এখন নিত্যকার ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা প্রতিনিয়তই কোন না কোন ভাবে বন্দরকে অস্থিতিশীল করেই চলেছে তাদের কোন ক্লান্তি নেই। তাদের মিশন একটাই বন্দরকে কার্যত অচল করে দেয়া। তবে সিএন্ডএফ এজেন্টস্ এসোসিয়েশন কোন ভাবেই এটা বরদাস্ত করবে না। যে কোন মূল্যে আমরা তাদের প্রতিহত করে বন্দরের চাকা আবার ঘোরাবো। এ বিষয় ভোমরা কাস্টমস্ ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং এজেন্টস্ এসোসিয়েশন সাধারণ সম্পাদক এএসএম মাকসুদ খান বলেন, ২০১৩ সালে সাতক্ষীরার সরকার বিরোধি চক্র সাতক্ষীরা কে অচল করার চক্রান্ত করেছিল সেই সমস্ত লোকজন বন্দরকে ব্যবহার করে নিজেদের সার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, ভোমরা বন্দরের ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে এবং ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়াতে পিছপা হবোনা।