বাংলার ভোর প্রতিবেদক
মণিরামপুরের এড়েন্দা গ্রামের গৃহবধূ রহিমা খাতুন তুলতুলি আত্মহত্যা প্ররোচনার মামলায় স্বামী ও শ্বশুরের নামে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই তুহিন হোসেন। অভিযুক্ত আসামিরা হলেন, মৃত তুলতুলির স্বামী রোহিতা গ্রামের ফয়সাল হোসেন ও শ্বশুর আব্দুর রশিদ।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি আসামি ফয়সাল হোসেন রোহিতা গ্রামের তৌফিকুল ইসলাম পলাশের মেয়ে রহিমা খাতুন তুলতুলিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা হলে পুলিশ ফয়সালকে আটক ও তুলতুলিকে উদ্ধার করে। পরে আদালতের মাধ্যমে তুলতুলিকে পিতার জিম্মায় দেয় আদালত। আসামি ফয়সাল আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে গত মে মাসে ফের তুলতুলিকে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে সংসার শুরু করে। তুলতুলিকে ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয় পরিবার। তুলতুলিকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন অমানুষিক নির্যাতন করত। গলায় দড়ি ও কীটনাশক পানে আত্মহত্যা করতে বলতো শ্বশুর বাড়ির লোকজন। গত ৩০ জুলাই দিবগত রাতে তুলতুলি আত্মহত্যা করেছে বলে সংবাদ পায় তার স্বজনেরা। এ ঘটনায় তুলতুলির পিতা তৌহিদুল ইসলাম পলাশ আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে ১ আগস্ট মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে অভিযুক্ত দুইজনকে আটক দেখানো হয়েছে।