বাংলার ভোর প্রতিবেদক
এভাবেই কি অর্থ সংকটে বিনা চিকিৎসায় ক্যান্সারে আক্রান্ত জনপ্রিয় ইউপি চেয়ারম্যান এম এম ফারুক হুসাইনের জীবন প্রদীপ নিভে যাবে? তিনি বাঁচার আকুতি জানিয়ে সমাজের বিত্তবান ও দানশীলদের সহযোগিতা কামনা করেছেন। আত্মীয়-স্বজনসহ বিভিন্ন এনজিও থেকে ধার দেনা ও জমি-জমা বিক্রি করে গেলো ২২ সেপ্টেম্বর ভারতের মুম্বাই শহরের নানাবতি ম্যাক্স সুপার স্পেসিয়ালিটি হসপিটালে ভর্তি হন। সেখানে প্রায় ১২ লাখ টাকা চিকিৎসা ব্যয় মিটিয়ে পরবর্তীতে অর্থ সংকটে পড়ে দেশে ফিরেছেন।
এমএম ফারুক হুসাইন যশোরে মণিরামপুর উপজেলার নেহালপুর ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। পাশাপাশি এনটিআরসিএ সুপারিশে উপজেলার একটি দাখিল মাদরাসায় সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন। কিন্তু ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর মেডিকেল ছুটি নিয়ে চিকিৎসার সুবাদে দীর্ঘদিন বাইরে থাকায় বেতন-বিলে স্বাক্ষর দিতে গড়িমসি করছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে আরও মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন তিনি। বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিতে দেখার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, হঠাৎ পেটে তীব্র যন্ত্রণা দেখা দিলে যশোর, খুলনাসহ ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার একপর্যায়ে তার লিভারে টিউমার সনাক্ত হয়। এরপর বায়োপসি করে টিউমারে ক্যান্সার জীবাণু ধরা পড়ে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাবার পরাপর্শ দেয়া হয়। এরই মধ্যে ৫ আগস্ট দেশের পট পরিবর্তনে ভিসা জটিলতায় পড়েন। একপর্যায়ে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনে যোগাযোগ করে ভিসা পেয়ে ভারতের মুম্বাই শহরের নানাবতি ম্যাক্স সুপার স্পেশিয়ালিটি হসপিটালে ভর্তি হয়ে একটানা ৫৮ দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন। ইতোমধ্যে উচ্চমূল্যের একটা কেমোথেরাপি দিয়েছেন তিনি। আরও তিনটি দিতে হবে। ইউনিয়নের লোকজন হাটবাজার হতে অর্থ সংগ্রহ করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে অর্থ পাঠিয়েছিলেন। তাতেও সংকুলান হয়নি। পরে অর্থ সংকটে পড়ে ২৪ নভেম্বর দেশে ফিরে আসেন। এখন এই ইউপি চেয়ারম্যান বাঁচার আকুতি জানিয়ে সমাজের দানশীল-বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
ইউপি চেয়ারম্যানের স্ত্রী নাসরিন সুলতানা কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, তার স্বামীকে বাঁচাতে চান তিনি। সহায়-সম্বল আর কিছুই নেই। এজন্য সমাজের বিত্তশালী ও দানশীল ব্যক্তিবর্গের সুদৃষ্টি কামনা করে স্বামীকে বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তিনি।