মাগুরা জেলা সংবাদদাতা
মাগুরা সদর উপজেলার শ্রিমন্তপুর গ্রামে বড় বউয়ের দেয়া আগুনে স্বামীসহ ছোট স্ত্রী ও সন্তান আগুনে দগ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার গভীর রাতে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার (৩০) রাগের বশবর্তী হয়ে ঘুমন্ত স্বামী বাহারুল ও সতীন লাভলী বেগমের ঘরে পেট্রল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর প্রথম স্ত্রী সুমি নিজেই দায় শিকার করে স্থানীয় ফাঁড়িতে আত্মসমর্পণ করে। গুরুতর দগ্ধ স্বামী বাহারুল দ্বিতীয় স্ত্রী ও সন্তানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আহত বাহারুলের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম ও স্বজনরা জানান, প্রথম স্ত্রী সুমি আক্তার তিন সন্তানকে গ্রামের বাড়িতে রেখে বড় ভাই বাহারুল (৪৫) ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করাকালীন লাভলী বেগমকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকা থেকে দ্বিতীয় স্ত্রী লাভলী বেগম (২৭) ও শিশু সন্তান রোহানকে (১৩ মাস) নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। এ নিয়ে প্রথম স্ত্রীর সাথে কলহ চলছিল।
এর একপর্যায় শুক্রবার রাত প্রায় ১ টার দিকে বাহারুলের ঘরে আগুন ধরিয়ে দিয়ে ঘরের বাইরের থেকে শিকল এটে দেয়। একপর্যায়ে ঘুম ভেঙ্গে ঘরে আগুন দেখে বাহারুল ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী চিৎকার করলে প্রতিবেশিরা এসে ঘরের দরজা খুলে তাদের উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপতালে নিয়ে যায়। পরে শনিবার সকালে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।
মাগুরা ২৫০ শয্যা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক উসমান গণি জানান, শুক্রবার রাত প্রায় দেড়টার দিকে তিনজনকে গুরুতর অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তাদের শরীরের বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে। শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।
মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: আইয়ুব হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনার পর আসামি স্ত্রী সুমি বেগম নিজের দোষ স্বীকার করে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। এ ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ বাহারুলের ছোট ভাই মনিরুল বাদী হয়ে প্রথম স্ত্রী সুমি বেগমকে আসামি করে মাগুরা সদর থানায় মামলা করেছেন।