বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা ও বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান বলেছেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে আওয়ামী লীগের ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হলেও শোষণমূলক ব্যবস্থা এখনো বহাল রয়েছে। শাপলা চত্বর ও শাহবাগের মতো বিতর্ক সামনে এনে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা চালাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাইরে গিয়ে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়।’
শনিবার বিকেলে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে বাসদ জেলা কমিটি আয়োজিত ‘বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতা এবং করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বীরমুক্তিযোদ্ধা খালেকুজ্জামান বলেন, ‘শুধু ক্ষমতার হাতবদল হলে হবে না। বরং শোষণমূলক ব্যবস্থার পরিবর্তন ছাড়া সাধারণ মানুষের অবস্থার উন্নয়ন সম্ভব নয়। সংবিধান থেকে চার মূলনীতি বাতিলের আলোচনা মুক্তিযুদ্ধকে অস্বীকার করার শামিল। গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ ও সমাজতন্ত্রের চেতনা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে মানুষের আকাঙ্ক্ষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতার ৫৪ বছরে বিভিন্ন সরকার এসব নীতির বিপরীতে গিয়ে বাংলাদেশকে চরম বৈষম্যমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কোনো ষড়যন্ত্র জনগণ মেনে নেবে না।’
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে লড়াকু বাম প্রগতিশীল শক্তিকে কেন্দ্রে রেখে গণমানুষের গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক শক্তিকে সুসংগঠিত করার আহ্বান জানান।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাসদ যশোর জেলা শাখার আহ্বায়ক শাহজাহান আলী এবং সঞ্চালনা করেন জেলা সদস্য মো. আলাউদ্দিন।
সভায় আরও বক্তব্য দেন বাসদ কেন্দ্রীয় সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য নিখিল দাস, জনার্দন দত্ত নান্টু, শফিউর রহমান শফি, যশোর জেলা কমিটির সদস্য সচিব আক্কাস আলী, সংগঠক হাছিনুর রহমান, বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোর জেলা কমিটির সমন্বয়ক ও বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ কেন্দ্রীয় সদস্য জিল্লুর রহমান ভিটু, কলামিস্ট বেনজিন খান, সিপিবি যশোর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইলাহদাদ খান, যশোর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ফকির শওকত, জাসদ যশোর জেলা কমিটির সহ সভাপতি আহসান উল্লাহ ময়না, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মফিজুর রহমান রুন্নু, শিক্ষক অধ্যাপক মাফিজুল ইসলাম, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মেহদিউর রহমান টুটুল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের যশোর জেলা সম্পাদক মাসুম রহমান প্রিন্স, শিক্ষক জাফর ইকবাল লিটনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।