বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বৃহত্তর হরিণার বিলের পানি নিস্কাশন অব্যাহত রাখতে যশোরের মুক্তেশ্বরী নদীর দুই প্রান্তে অবৈধভাবে বাঁধ দেয়ার প্রতিবাদে ও অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নের মুক্তেশ্বরী নদীর বাঁধ অপসারণ ও সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে দখলমুক্ত করার দাবিতে এলাকাবাসী গণমিছিল, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছেন।
স্মারকলিপিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মুক্তশ্বেরী নদীর একটি শাখা বিল হরিণা নামে পরিচিত। যেটি চাঁচড়া ইউনিয়নের ভাতুড়িয়া গ্রামের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত। ১৯৯৫ সাল থেকে দখলদার কামাল হকসহ একটি সন্ত্রাসী চক্র প্রশাসনের একটি পক্ষের সহযোগিতায় জালিয়াতি ও কারচুপি করে নিজেদের দখলে নেয়। ওই চক্রটি খালের দুইপ্রান্তে বাঁধ দিয়ে নদীর পানির প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। এতে করে বৃহত্তর হরিণা বিলসহ আশেপাশের কয়েকটি বিলের পানি নিস্কাশন বন্ধ হয়ে যায়।
হাজার একর জমি বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে থাকে। কৃষি জমি বাঁচানোর জন্য এলাকাবাসী আদালতের আশ্রয় নিলে আদালত রায় দেন, সরকারি নদীতে বাঁধ দিয়ে প্রবাহ আঁটকানো যাবে না। দখলমুক্ত থাকবে। কিন্তু দখলদারদের ক্ষমতার জোরে সেই রায় বাস্তবায়িত হয়নি। উল্টো এলাকার সাধারণ মানুষকে মামলা দিয়ে ঘরবাড়ি ছাড়া করা হয়েছে। ২০০৭ ও ২০২৪ সালে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়ে কোন প্রতিকার হয়নি।
সরকারের পতনের পর এলাকাবাসী মুক্তেশ্বরী নদীর দখলকৃত শাখাটির বাঁধ অবমুক্ত করে হরিণা বিলের হাজার হাজার একর জমির জলাবদ্ধতা নিষ্কাশনের যথাযথ ব্যবস্থা নেয়। তারপর থেকে দখলদার সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সহযোগিতায় মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা আন্দোলনকারীদের আলাদাভাবে ডেকে হুমকি দিচ্ছেন।
হরিণা বিলের পানি নিস্কাশন অব্যাহত ও সাধারণ মানুষকে প্রশাসনিক হয়রানি মুক্ত রাখার দাবি করেন তারা। এ সকল কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ভাতুড়িয়া এলাকার নুর ইসলাম নুরু, মাসুদুর রহমান টিটো, মাসুদ রানা, পবিত্র রায়, আলমগীর হোসেন, নিতাই রায়, রবিউল ইসলাম, নিতাই রায়, রবিন বর্মন, শেখ এনামুল হকসহ শত শত জনতা।