বাংলার ভোর প্রতিবেদক
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ নেছার উদ্দিন ও তার স্ত্রীকে আটকে রেখে মারপিট ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক শিক্ষার্থী কর্মচারীরা। বুধবার বেলা ১১ টার দিকে যশোর প্রেস ক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বক্তরা ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবি জানান। গত সোমবার রাতে যশোর শহরের কাঁঠালতলা এলাকায় আলমগীর কবিরের বাসায় ওই শিক্ষার্থী ও তার স্ত্রীকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় পরের দিন মঙ্গলবার ভুক্তভোগী কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা করলে অভিযুক্ত বাড়িওয়ালার স্ত্রীকে আটক করে পুলিশ। পরে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, যশোর শহরের কাঁঠালতলা এলাকার আলমগীর কবীরের শিশু সন্তানকে বাড়িতে গিয়ে পড়াতেন যবিপ্রবির শিক্ষার্থী নেছার উদ্দিন। কিন্তু গত চার মাস যাবৎ তার বেতন দেন না আলমগীর কবীর। এ নিয়ে তিনি কবীরের স্ত্রী তানিয়া আলমকে বারবার তাগাদা দিলেও তিনি টালবাহানা করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সোমবার ওই শিক্ষার্থী তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে শিশু শিক্ষার্থীর মা তানিয়ার কাছে যান। এ সময় তিনি পাওনা ১৬ হাজার টাকা চান। কিন্তু তানিয়া এ টাকা দিতে রাজি হন না। এসব বিষয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এক পর্যায়ে তিনি তার স্বামী আলমগীর কবীরকে ডেকে এনে তাদেরকে আটকে রেখে ব্যাপক মারপিটে জখম করে। তার স্ত্রীর শ্লীলতাহানী ঘটায়।
স্থানীয়রা জানান, তারা মারপিটের খবর শুনে ওই বাড়িতে যান। এরপর নেছার যবিপ্রবিতে তার বন্ধুদের খবর দেন। এ সংবাদ শুনে যবিপ্রবি থেকে তাদের বন্ধুরা ঘটনাস্থলে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে। পরে আরও শিক্ষার্থীরা সেখানে জড়ো হন। তাকে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করে। বিষয়টি তারা সেনাবাহিনী ও পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থলে দুটি বাহিনীর সদস্যরা হাজির হয়ে পরিস্থিি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় মামলা করে। অভিযুক্ত আলমগীর কবিরসহ ৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে তার স্ত্রীকে আটক করা গেছে। বাকিদের আটকের ব্যাপারে অভিযান চলমান রয়েছে।