বাংলার ভোর প্রতিবেদক
বিয়ের আশ্বাসে যশোরে এক আওয়ামী লীগ নেত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাগেরহাটের মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় পর ভুক্তভোগী ওই নারী মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, সহকারী পুলিশ সুপার ও পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এরপরই ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে মোংলা থানা থেকে বাগেরহাট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বাগেরহাটের পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খাঁন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হিরন্ময় সরকারকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত চলছে; অভিযোগ প্রমাণিত হলে হিরন্ময় সরকারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যশোর জেলার বাসিন্দা ও নারীনেত্রী ওই নারী লিখিত অভিযোগে বলেন, পাঁচ বছর আগে পুলিশ কর্মকর্তা হিরন্ময় সরকারের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। ওই সময় হিরন্ময় সরকার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) চাকরিরত ছিলেন। সনাতন ধর্মাবলম্বী হয়েও নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী পরিচয় দিয়ে ওই নারীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন হিরন্ময় সরকার। গোপন রাখেন তার আগের সংসারের কথাও। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ওই নারী অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, তাদের এমন সম্পর্কের কিছুদিন পর তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এ সময় নানা অজুহাত দেখিয়ে হিরন্ময় সরকার ভ্রুণ নষ্ট করেন। এরপর হিরন্ময় ওই নারীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।
গত বৃহস্পতিবার (৯ মে) যশোর থেকে এসে মোংলার একটি আবাসিক হোটেলে অবস্থান নেন ওই নারী। পরে মোংলা থানায় গিয়ে বিষয়টি অফিসার ইনচার্জ এম আজিজুল ইসলাম ও সহকারী পুলিশ সুপার মোংলা সার্কেল মুশফিকুর রহমান তুষারকে অবহিত করেন। গত শনিবার (১১ মে) বিকেলে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ওই নারী। পরে পুলিশ সুপারের আশ্বাসে ওই নারী রোববার (১২ মে) মোংলা থেকে নিজ জেলা যশোর ফিরে আসেন।
এদিকে ওই নারীর অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশ পরিদর্শক হিরন্ময় সরকার বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। ওই নারী শুধু বন্ধু ছিল। তার সঙ্গে শারীরিক বা প্রেমের সম্পর্ক হয়নি।