বাংলার ভোর প্রতিবেদক
তীব্র গরমে হাঁপিয়ে ওঠা পথচারীদের জন্য এক অভিনব উদ্যোগ নিয়েছে বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)। স্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশের অর্থায়নে যশোর পৌরসভার ৬টি জন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে স্থাপন করা হয়েছে শীতল বিশ্রামাগার ও সেবা কেন্দ্র। এই সেবাকেন্দ্রগুলোতে প্রতিবন্ধী, রিকশাচালক, হকার, শ্রমিক, শিশু, বৃদ্ধ ও বস্তিবাসীসহ প্রায় ১৫ হাজার মানুষ বিনামূল্যে ডাক্তারি পরামর্শ, স্যালাইন ও বিশুদ্ধ জল পান করার সুযোগ পাবেন।
শহরের জজকোর্ট মোড়, মনিহার, পালবাড়ি, চাঁচড়া, শংকরপুর টার্মিনাল ও নিউ মার্কেট এলাকায় স্থাপিত এই ‘শীতল বিশ্রামাগার ও সেবা কেন্দ্র’ গুলোতে দেখা যায় তীব্র তাপদাহ থেকে বাঁচতে সাধারণ মানুষ বিশ্রাম নিচ্ছে। পাশাপাশি রিক্সাচালক, হকার, প্রতিবন্ধী, শিশু, বৃদ্ধ নারী-পুরুষ, ও বস্তিবাসীদের মধ্যে ছাতা, ছোট ফ্যান, পানি, গ্লুকোজ, ক্যাপ বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও, অসুস্থ বোধ করলে সেখানে কর্মরত ডাক্তারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবাও প্রদান করা হচ্ছে।
এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগের ফলে গরমে কাহিল হয়ে পড়া মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছেন। সিএনআরএস-এর এই উদ্যোগ ৪৫ দিন ধরে পথচারীদের সেবা প্রদান করবে। এছাড়াও, সাধারণ মানুষকে তাপদাহের প্রভাব এবং তা থেকে রক্ষা পাবার বিভিন্ন কৌশল সম্পর্কে সচেতন করতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া সেবা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে অভিযোগ জানানোর ব্যবস্থা। মন্তব্য ক্যানভাসে সহজেই নিজেদের মতামত লিখতে পারছেন সেবা নিতে আসা ব্যক্তিরা। অসুস্থ পথচারীদের তাৎক্ষণিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার এই পদক্ষেপ ইতোমধ্যেই সর্বসাধারণের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
শীতল বিশ্রামাগার ও সেবা কেন্দ্র গিয়ে কথা হয় রিকসা চালক জহিরুল হক, দিনমজুর বসির উদ্দীন, হোটেল শ্রমিক হোসনেআরাসহ একাধিক ব্যক্তির সাথে। তারা বলেন, যশোরে প্রচন্ড গরম পরছে। কোথাও বসে বিশ্রাম নেওয়ার মত অবস্থা নেই। এখানে এসে ছায়ায় বসতে পারছি। উনারা পানি, স্যালাইন, গ্লুকোজ দিচ্ছেন। গরমের হাত থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাচ্ছি।
এই প্রজেক্টের কো অর্ডিনেটর মোস্তফা হায়দার মিলন বলেন, প্রচন্ড তাপদাহে মানুষের স্বস্তির জন্য এই কুলিং স্টেশন চালু করা হয়েছে। প্রতিদিন শত শত মানুষ এই স্টেশনগুলোতে সেবা নিচ্ছেন। একাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে স্টেশনগুলোতে মেডিকেল টিম ও স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করে যাচ্ছে।